Israel Hamas War

কোন পথে সেনা প্রত্যাহার? কী ভাবে বন্দিদের মুক্তি? ইজ়রায়েল ও হামাসকে মানচিত্র দেখালেন ট্রাম্প, তবু কিসে আটকে বিরতি?

কোন পথে গাজ়া থেকে ইজ়রায়েল তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করবে, কোন পথে কী ভাবে হামাস পণবন্দিদের মুক্তি দেবে, তার একটি রূপরেখা তৈরি করে উভয় পক্ষকেই দেখিয়েছেন ট্রাম্প।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৫ ০৮:০০
Share:

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

গাজ়ায় যুদ্ধবিরতি এখনও নিশ্চিত নয়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, কোন পথে গাজ়া থেকে ইজ়রায়েল তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করবে, কোন পথে কী ভাবে হামাস পণবন্দিদের মুক্তি দেবে, তার একটি রূপরেখা তৈরি করে উভয় পক্ষকেই তিনি দেখিয়েছেন। দাবি, তাঁর প্রস্তাবে ইজ়রায়েল রাজিও হয়েছে। এ বার অপেক্ষা শুধু হামাসের সম্মতির। প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ট্রাম্পের দেওয়া মানচিত্রে সম্মতি জানালেই যুদ্ধবিরতি শুরু হয়ে যাবে। শান্তি ফিরবে গাজ়ায়।

Advertisement

শনিবার ট্রাম্প নিজের সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘সমঝোতার পর ইজ়রায়েল বাহিনী প্রত্যাহারের পথে রাজি হয়েছে। সেটা আমরা হামাসকেও দেখিয়েছি। ওরা যখন সবুজ সঙ্কেত দেবে, ঠিক তখন থেকেই যুদ্ধবিরতি শুরু হয়ে যাবে। পণবন্দি এবং জেলবন্দিদের বিনিময় প্রক্রিয়া শুরু হবে। পরবর্তী পর্যায়ের সেনা প্রত্যাহারের অনুকূল পরিস্থিতি আমরা তখন প্রস্তুত করতে পারব। তবেই তিন হাজার বছরের এই বিপর্যয় থামবে।’’ এই পোস্টের সঙ্গে ‘প্রাথমিক প্রত্যাহার রেখা’ মানচিত্র আকারে পোস্ট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কোন পথে কী ভাবে প্রত্যাহার চলবে, মানচিত্রে তা দেখানো হয়েছে।

এর আগে হামাসকে আরও এক বার তাড়া দিয়েছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, ‘‘আমি আর দেরি মেনে নেব না। অনেকেই মনে করেন, দেরি হলে এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হবে যাতে গাজ়া আবার বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। হামাস দ্রুত সিদ্ধান্ত না-নিলে সব বাজি পাল্টে যেতে পারে।’’ তার পরেই ট্রাম্প দাবি করেন, তাঁর প্রস্তাবিত প্রত্যাহার পথে ইজ়রায়েল রাজি হয়েছে। এ বার শুধু হামাসের সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষা।

Advertisement

গাজ়ায় শান্তি ফেরানোর জন্য ২০ দফা প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ‘বন্ধু’ ইজ়রায়েল তাতে প্রাথমিক ভাবে রাজি হয়েছিল। এর পর হামাসকে ওই প্রস্তাব নিয়ে সিদ্ধান্তের জন্য রবিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, প্রস্তাবে রাজি না হলে ‘নরক যন্ত্রণা’ ভোগ করতে হবে। সময়সীমা শেষের আগেই অবশ্য হামাস বিবৃতি দেয়। প্রাথমিক ভাবে ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেও বেশ কিছু বিষয়ে ধোঁয়াশা থেকে গিয়েছিল। এর মধ্যে শনিবার ফের গাজ়ায় বোমাবর্ষণ করে ইজ়রায়েল। তাতে অনেকে প্রাণ হারান। জটিলতা যখন বাড়ছে তখনই ট্রাম্প আবার দাবি করলেন, হামাসের সম্মতির জন্য তিনি অপেক্ষা করছেন। তবেই যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা যাবে। ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement