মেকআপের আস্তরণ ট্রাম্পের হাতে! — ফাইল চিত্র।
হাতে মেকআপের আস্তরণ! এক ঝলক দেখলেও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, প্রায় আশি ছুঁইছুঁই মার্কিন প্রেসিডেন্টের হাতে ফাউন্ডেশনের ছোপ লেগে রয়েছে। আর তা নিয়েই ফের জল্পনা শুরু হয়েছে নানা মহলে। উদ্বেগ বেড়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাস্থ্য নিয়েও।
শুক্রবার ওয়াশিংটনে পিপল্স হাউস জাদুঘরের একটি প্রদর্শনীতে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। হঠাৎ দেখা যায়, ট্রাম্পের হাতে তাঁর ত্বকের চেয়ে হালকা রঙের একটি বড়সড় ছোপ রয়েছে। দেখে মনে হচ্ছিল, সম্ভবত ফাউন্ডেশন জাতীয় কিছু লাগানো হয়েছে তাঁর হাতে। এর পর শুক্রবার বেলার দিকে ওভাল অফিসে অন্য এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করতে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ বার অবশ্য আগে থেকেই সতর্ক ছিলেন ট্রাম্প। গোটা সময় জুড়ে বাঁ হাত দিয়ে ডান হাতের উপরের অংশ ঢেকে রাখার বিস্তর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু উঠে দাঁড়াতেই ফের মেকআপটি দৃশ্যমান হয়।
ট্রাম্পের হাতের ওই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই জল্পনা শুরু হয়েছে প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্য নিয়ে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট অবশ্য এর ব্যাখ্যা দিয়ে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট হিসাবে প্রতিদিন বহু মানুষের সঙ্গে করমর্দন করতে হয় ট্রাম্পকে। মেকআপের বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও সম্ভবত সে প্রসঙ্গেই এই ব্যাখ্যা দিয়েছে হোয়াইট হাউস। ক্যারোলিন বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জনগণের মানুষ। ইতিহাসে অন্য যে কোনও প্রেসিডেন্টের চেয়ে প্রতিদিন অনেক বেশি সংখ্যক আমেরিকানের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। প্রত্যেকের সঙ্গে করমর্দনও করতে হয় তাঁকে।’’
তবে ট্রাম্পের হাতে মেকআপ এই প্রথম নয়! গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠকেও একই রকম মেকআপ দেখা গিয়েছিল ট্রাম্পের হাতে। জুলাইয়ের শেষের দিকে স্কটল্যান্ডে ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেয়েনের সঙ্গে দেখা করার সময়েও হাতে ফাউন্ডেশনের প্রলেপ লাগিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, ট্রাম্প দীর্ঘস্থায়ী শিরাজনিত রোগে ভুগছেন। সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে থাকলে এই রোগ হতে পারে। বিভিন্ন সূত্রে জল্পনা, হয়তো সেই ক্ষত ঢাকতেই মেকআপের আস্তরণ লাগিয়েছেন ট্রাম্প। আবার হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক ক্যাপ্টেন শন বারবাবেলা জানিয়েছেন, হৃদ্রোগের জন্য অ্যাসপিরিন নেওয়ার কারণেও ট্রাম্পের হাতে ক্ষত হয়ে থাকতে পারে।