(বাঁ দিকে) ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জেমস কোমি। —ফাইল চিত্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর সমালোচক, প্রাক্তন এফবিআই প্রধান জেমস কোমির বিরুদ্ধে জোড়া চার্জ গঠন হল ভার্জিনিয়ার আদালতে।
তাঁর নির্দেশেই গোপন তথ্য সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করা হয়েছিল কি না, সেই সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কোমির বিরুদ্ধে। সেই মামলাতেই প্রাক্তন এফবিআই প্রধানের বিরুদ্ধে মোট দু’টি অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাচক্রে, কয়েক দিন আগে কোমি-সহ বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
শুক্রবার ভার্জিনিয়ার আদালতে চার্জ গঠন হওয়ার পরেও অবশ্য নিজেদের নির্দোষ বলেই দাবি করেছেন কোমি। তিনি বলেন, ‘‘বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা রয়েছে।’’
২০১৩ সালে কোমিকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার মাথায় বসিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ২০১৬ সালে ভোটের ঠিক মুখে হিলারি ক্লিন্টনের ইমেল সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত শুরু করে ট্রাম্পের বিস্তর প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন কোমি। তাতে এক ধাক্কায় জনপ্রিয়তা অনেকটা কমে গিয়েছিল হিলারির। কিন্তু কোমিই পরে হিলারিকে ক্লিনচিট দেন। অনেকের মত, তা নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন ট্রাম্প। পাশাপাশি, ওই বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ে রাশিয়ার হাত রয়েছে কি না, তা নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছিল। মার্কিন কংগ্রেসের বিভিন্ন কমিটি ছাড়াও এফবিআই যে তদন্ত চালাচ্ছিল, কোমি তারই নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তার মধ্যেই কোমিকে এফবিআই-এর সর্বোচ্চ পদ থেকে বরখাস্ত করেছিলেন ট্রাম্প। এর পর থেকেই ট্রাম্পের কঠোর সমালোচক হয়ে ওঠেন কোমি।
হিলারির ইমেল এবং রুশ হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত বিষয়েই ২০২০ সালে মার্কিন সেনেটের বিচারবিভাগীয় কমিটির মুখোমুখি হয়ে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন কোমি। তা নিয়েই যত বিতর্ক।