এ বার আপনার হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ যখন খুশি পড়তে পারবে সরকার। ইচ্ছেমতো আপনার ব্যক্তিগত জীবনেও ঢুকে পড়বে সরকার। ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের এক বিশেষজ্ঞ কমিটি এমনই প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রকে। এই প্রস্তাব মানলে নাগরিকের সব ধরনের গোপন তথ্যভাণ্ডার খুলে যাবে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যে কোনও ধরনের ‘এনক্রিপ্টেড’ তথ্য সরকারকে দেখতে দিতে হবে। এর মধ্যে ই-মেল থেকে শুরু করে হ্যাং-আউট, হোয়াটস অ্যাপ— প্রায় সবই রয়েছে। যা কার্যত নাগরিকের ব্যক্তিগত জীবনে ঢুকে পড়ার মতো। এই প্রস্তাবেই বলা হয়েছে, ৯০ দিনের মধ্যে কোনও বার্তা মোছাও যাবে না। পাশাপাশি, নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত কোনও সংস্থা চাইলেই এই সব তথ্য তাদের দেখতে দিতে হবে।
এই প্রস্তাবের কথা সামনে আসতেই তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। ২০০০ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৮৪এ ধারা নিয়েই এই বিশেষজ্ঞ কমিটি। তবে এই প্রস্তাব নিয়ে সাধারণের মতামত জানার জন্য ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। মতামত জানার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখানে ‘এনক্রিপ্টেড’ বার্তা বিনিময়ের সঙ্গে জড়িত তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে সরকারের নির্দিষ্ট দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও বলা হয়েছে। কোন সংস্থাগুলি এ ধরনের বার্তা বিনিময়ের ব্যবসা ভারতে চালাতে পারবে তার তালিকাও সরকার নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রকাশ করবে।