খ্রিস্টান তীর্থযাত্রীদের বাসে জঙ্গি হানা, হত ৭

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কায়রো শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৮ ০২:১৯
Share:

ছবি: এএফপি।

জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর হামলায় দক্ষিণ মিশরে প্রাণ গেল ৭ জনের। জখম ১২। প্রত্যেকেই সংখ্যালঘু কপটিক খ্রিস্টান
সম্প্রদায়ের মানুষ।

Advertisement

খ্রিস্টানদের উপরে আইএস হামলা মিশরে নতুন কিছু নয়। গত বছরও এই একই জায়গায় জঙ্গি হানায় নিহত হন ২৯ জন কপটিক খ্রিস্টান। সে বারও ঘটনার দায় নিয়েছিল আইএস। ২৯ জনের মৃত্যুতে নড়ে বসেছিল মিশর সরকার। লিবিয়া সীমান্ত বরাবর আইএস ঘাঁটিগুলো নিশ্চিহ্ন করতে বিমানহানা চালিয়েছিল তারা। কিন্তু পরিস্থিতি যে একই রয়েছে, এ দিনের ঘটনায় তা স্পষ্ট।

মিন্যা প্রদেশের ‘সেন্ট স্যামুয়েল দ্য কনফেসর মনাস্ট্রি’ থেকে তীর্থ সেরে বাসে করে সোহাগ শহরে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিলেন সকলে। আক্রান্ত বাসটির কাছাকাছি আরও দু’টি তীর্থযাত্রী বোঝাই বাস ছিল। হঠাৎই হামলা চালায় আইএস। অন্য দু’টি বাস বেঁচে যায়। পরে দক্ষিণ কায়রো থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে
প্রত্যন্ত এলাকার ওই ঘটনার দায় স্বীকার করে আইএস-এর মিশরের শাখা সংগঠন।

Advertisement

এ দিনের ঘটনার পরে মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফতে আল-সিসি বলেন, ‘‘জঙ্গি নিধনে অভিযান চলবে। এই লড়াই, দেশের বাঁচা-মরার লড়াই।’’ মিশরের জনসংখ্যার ১০ শতাংশ খ্রিস্টান। তাঁরা যে বৈষম্যের শিকার, বরাবরই সেই অভিযোগ তুলে এসেছেন। ২০১৩ সালে মুসলিম ব্রাদারহুডকে সরিয়ে আল-সিসি ক্ষমতায় আসার পর থেকে খ্রিস্টানদের সমর্থন পেয়েছেন। কিন্তু খ্রিস্টানদের উপরে একের পর এক জঙ্গি হামলার ঘটনায় টাল খাচ্ছে আল-সিসির সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন