সাম্প্রতিক অতীতে বন্দুকবাজের হামলার অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে আমেরিকায়। ছবি: রয়টার্স।
বড়দিনের ছুটিতে গিফ্ট তো অনেক পেয়েছেন। চকোলেট, শ্যাম্পেন, কেক, দামি পোশাক বা নিদেনপক্ষে ফুল। কিন্তু কখনও আগ্নেয়াস্ত্র পেয়েছেন কি? আপনার এ ‘সৌভাগ্য’ না হলেও আমেরিকার উইসকনসিনের এক সংস্থার কর্মচারীদের ক্ষেত্রে ঠিক এমনটাই ঘটেছে। বড়দিনের বোনাস হিসাবে তাঁদের আগ্নেয়াস্ত্র গিফ্ট করছেন মালিক পক্ষ।
উইসকনসিনের হরটনভিলে ‘বেনশট’ নামে ওই সংস্থাটি আড়বহরে বেশ ছোট। সংস্থায় কাজ করেন মাত্র ১৬ জন স্থায়ী কর্মী। মূলত বুলেটপ্রুফ বিয়ার গ্লাস বানানোই ব্যবসা তাঁদের। কোনও কোনও বিয়ার গ্লাসের গায়ে আবার লাগানো থাকে আসল বুলেটও।
বাবা-ছেলের মালিকানায় ওই সংস্থার পণ্য বিক্রি হয় অনলাইনে। এ হেন সংস্থার এক মালিকের মাথায় হঠাৎই এসেছিল ওই আইডিয়াটা। এ বারের বড়দিনে কর্মীদের তাঁরা আগ্নেয়াস্ত্র উপহার দেবেন। তবে তা গিফ্ট কার্ডের আকারে পাবেন কর্মীরা। ৫০০ মার্কিন ডলার মূল্যের ওই কার্ড একে একে প্রতিটি কর্মচারীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। যাতে নিজেদের পছন্দ মতো বন্দুক-পিস্তল বা অন্য যে কোনও ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র কিনে নিতে পারেন তাঁরা।
কিন্তু, হঠাৎ এই আইডিয়াটা মাথায় এল কেন? সংস্থার এক মালিক বেন উলফগ্রামের দাবি, “কর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই কিছু একটা দিতে চেয়েছিলাম। সেই সঙ্গে খানিকটা মজা করেই কিছু একটা আকর্ষণীয় উপহারের কথা মাথায় এসেছিল। বেনের আরও দাবি, এই উপহার পেয়ে বেশির ভাগ কর্মীই খুব খুশি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মায়ের জন্মদিনে দেশে ফিরছিলেন, তার আগেই আমেরিকায় খুন ভারতীয়
আরও পড়ুন: ‘পাল্টি খাওয়াই রাজনীতির অঙ্গ’, নিজেকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করলেন ইমরান
বেনের মন্তব্যের প্রতিফলনই দেখা গেল চেলসি প্রিস্ট নামে এক কর্মীর কথায়। সাম্প্রতিক অতীতে আমেরিকার বুকে ঘটে যাওয়া বন্দুকবাজের অসংখ্য হামলার ঘটনা ঘটেছে। চেলসি বলেন, “আগ্নেয়াস্ত্র হাতে পেয়ে প্রথমেই মালিককে বলেছিলাম, বন্দুকবাজের শিকার যাতে না হই সে ব্যবস্থা করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।” এর কারণও ব্যাখ্যা করেছেন চেলসি। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত চেলসি আরও বলেন, “একেই তো আমি ছোটখাটো চেহারার। তা ছাড়া, এক জন কমবয়সি মেয়ে হওয়ায় আমার সঙ্গে যে কোনও অঘটন ঘটতে পারে।”
(সারা বিশ্বের সেরা সব খবর বাংলায় পড়তে চোখ রাখতে পড়ুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)