সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে তুরস্কে জোটের ইঙ্গিত প্রেসিডেন্টের

শেষমেশ জোট সরকার গঠনেরই ইঙ্গিত দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরগোদান। সোমবার তিনি বলেন, “কোনও দলই ‘একলা চলো’ নীতিতে দেশ শাসন করতে পারে না।” জোট সরকার গড়তে ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু করেছে তাঁর দল একেপি। অন্যান্য দলের সঙ্গে বৈঠকও শুরু করেছে একেপি-র দলীয় নেতৃত্ব। এ দিন তিনি বলেন, “তুরস্কে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতেই সব পার্টির সঙ্গে আলোচনা চালানো হচ্ছে।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৫ ১৫:২৯
Share:

ভোটের ফল বেরোনোর পর তুরস্কের রাস্তায় কুর্দিশপন্থী এইচডিপি-র সমর্থকদের উল্লাস। ছবি: এএফপি।

শেষমেশ জোট সরকার গঠনেরই ইঙ্গিত দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরগোদান। সোমবার তিনি বলেন, “কোনও দলই ‘একলা চলো’ নীতিতে দেশ শাসন করতে পারে না।” জোট সরকার গড়তে ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু করেছে তাঁর দল একেপি। অন্যান্য দলের সঙ্গে বৈঠকও শুরু করেছে একেপি-র দলীয় নেতৃত্ব। এ দিন তিনি বলেন, “তুরস্কে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতেই সব পার্টির সঙ্গে আলোচনা চালানো হচ্ছে।”

Advertisement

এর আগে ভোটে জোর ধাক্কা খান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরগোদান ও শাসক দল একেপি। গত এক বছরে যে ভাবে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করছিলেন প্রেসিডেন্ট এরগোদান তারই যোগ্য জবাব ভোটবাক্সে দিলেন দেশের সাধারণ মানুষ— এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বিরোধী মুখ বন্ধ করতে গত বারো মাসে ব্লগার গ্রেফতার থেকে শুরু করে নানা ধরনের কার্যকলাপে তাঁর ‘স্বৈরাচারী’ মনোভাব প্রকাশিত হয়েছে। তারই জবাব মিলল ভোটে। রবিবারের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সঙ্গেই দেখা গেল তেরো বছরে এই প্রথম তুরস্কের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের তকমা হারিয়েছে শাসক দল একেপি (জাস্টিস ডেভেলপমেন্ট পার্টি)।

স্বভাবতই তুরস্কের শাসন ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে একেপি-কে। নির্বাচনে মাত্র ৪১ শতাংশ ভোট পেয়েছে শাসক দল। ২০১১ সালের নির্বাচনের পরে একেপি-র ভোটবাক্সে লক্ষণীয় রক্তক্ষরণ হয়েছে। ফলে সরকার গড়তে একেপি-কে অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে হতে পারে। জোটের রাস্তায় না গেলে পরিসংখ্যানের নিরিখে অবশ্য দেশে সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে একেপি পার্টি। অন্য দিকে, কুর্দিশপন্থী এইচডিপি দল এই প্রথম পার্লামেন্টের ১০ শতাংশ আসন দখল করেছে। এই পরিস্থিতিতে দেশে ফের ভোটের সম্ভাবনা দেখা দেয়। তবে প্রেসিডেন্টের উদ্যোগের পর তুরস্কের শাসন ক্ষমতা জোট সরকারের হাতেই যাবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement