(বাঁ দিকে) ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিক কাজা কাল্লাস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
পহেলগাঁও কাণ্ড এবং তৎপরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে আমেরিকার পথেই হাঁটল ইউরোপ। ভারত এবং পাকিস্তান— উভয় দেশকেই সংযত হওয়ার বার্তা দেওয়া হল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে। দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বললেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক। এর আগে নয়াদিল্লিতে ফোন করে অনুরূপ বার্তা দিয়েছিলেন আমেরিকার বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশ বিষয়ক শীর্ষ প্রতিনিধি কাজা কাল্লাস। শুক্রবারই তিনি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। দুই দেশকে সংযত হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। পরে সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘‘আমি দুই পক্ষকেই সংযম প্রদর্শন করার অনুরোধ করেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আলোচনায় বসতে বলেছি। কারণ, উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে কারও তাতে লাভ হয় না।’’
এর আগে জয়শঙ্করকে ফোন করে উত্তেজনা প্রশমনের পরামর্শ দিয়েছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব। আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্রের ওয়েবসাইটে রুবিয়োর বক্তব্য প্রকাশ করা হয়। সেখানে লেখা হয়, ‘‘বিদেশ সচিব ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। পহেলগাঁওয়ে নৃশংস হত্যার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে আশ্বাস দিয়েছেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের পাশে থাকবে আমেরিকা।’’ ওয়েবসাইটে আরও লেখা হয়, ‘‘দু’দেশের মধ্যে যে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিরসনে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করুক ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখতে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করুক।’’
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনার নিন্দা করে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল আমেরিকা। কিন্তু ভারত প্রথম থেকেই পাকিস্তানকে দায়ী করে তার বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করেছে। দুই দেশের সম্পর্কের ক্রম অবনতি হয়েছে। এই পর্বে আমেরিকা থেকে শুরু করে চিন কিংবা ইউরোপ, শুরু থেকেই নিরপেক্ষ থেকেছে। ভারতের পাশে থাকলেও পাকিস্তানের উপর দোষারোপ করেনি কোনও দেশ। বরং, প্রথম থেকেই আন্তর্জাতিক মহল সংযমের বার্তা দিয়ে চলেছে। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার সঙ্গে যোগাযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। তারা এই ঘটনার নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছিলেন চিনের বিদেশমন্ত্রীও।