srilanka

Sri Lanka Crisis: ভারতের সাহায্যই বেশি, প্রশ্ন ছিল না চিনা বিনিয়োগের: শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী

তাঁর দাবি, ২০১৯-এ যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন দেশের আর্থিক স্বাস্থ্য যথেষ্ট ভাল ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার মানুষকে রাস্তায় এনে দাঁড় করিয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২২ ১৭:৫৮
Share:

কলম্বোয় পথে নেমে বিক্ষোভ সাধারণ মানুষের। ছবি— রয়টার্স।

ভারতের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘের মুখে। পাশাপাশি দাবি করলেন, তাঁর আমলে শ্রীলঙ্কায় চিনা বিনিয়োগ ছিল শূন্য। বর্তমান সরকারের অকর্মণ্যতাই দেশকে এমন ভয়াবহ আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এ রকম ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক দুর্দশা আমার সময়ে হয়নি। আমার সময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে মানুষকে কখনও লাইনে দাঁড়াতে হয়নি। আজ মানুষ অকারণে রাস্তায় নামেনি। গোতাবায়া রাজাপক্ষে সরকারের চূড়ান্ত অকর্মণ্যতার জন্যই এটা হয়েছে। তাঁর আরও দাবি, ২০১৯-এ তিনি যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন দেশের আর্থিক স্বাস্থ্য যথেষ্ট ভাল ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার মানুষকে রাস্তায় এনে দাঁড় করিয়েছে।

Advertisement

শ্রীলঙ্কা এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের (আইএমএফ) দ্বারস্থ না হওয়াতেও নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিক্রমাসিঙ্ঘে। তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হয় না সরকারের ভাঁড়ারে আর বিশেষ কিছু পড়ে আছে বলে। শুনছি এ বার আইএমএফ-এ যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু এটা কি আরও আগে করা যেত না? আইএমএফ-এর সহায়তা আসতেও বহু সময় লাগবে।’’ প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের প্রধান আইএমএফ-এর কাছে দরবার করতে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন বলে খবর।

এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রশংসা শোনা গিয়েছে বিক্রমাসিঙ্ঘের মুখে। তিনি বলেন, ‘‘ভারত আমাদের সত্যিই খুব সাহায্য করছে। তাঁর কার্যকালে বিনিয়োগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমার সময়ে চিনের বিনিয়োগ নেওয়ার কোনও প্রশ্নই ছিল না। আমার সময়ে শ্রীলঙ্কায় চিনের কোনও বিনিয়োগ ছিল না।’’ প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কার আর্থিক দুরবস্থার কারণ হিসেবে অতিরিক্ত চিন নির্ভরতার কথাও বলছেন কেউ কেউ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তারই ছায়া দেখতে পাচ্ছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন