ফিল্ম নয়, নীল মানুষরা আছেন বাস্তবেই!

এঁরা কোনও এলিয়ান নন। হলিউড পরিচালক জেমস্‌ ক্যামেরনের ‘অবতার’ ছবির সেই অদ্ভুতদর্শন নীল মানুষের কথাও বলছি না। সত্যিকারের নীল মানুষ রয়েছে পৃথিবীতে। আমেরিকার কেন্টাকিতে। প্রায় ২০০ বছর ধরে কেন্টাকির ফুগেট পরিবারে জন্ম হয়ে আসছে নীল ত্বক বিশিষ্ট শিশুর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৬ ১১:০০
Share:

এঁরা কোনও এলিয়ান নন। হলিউড পরিচালক জেমস্‌ ক্যামেরনের ‘অবতার’ ছবির সেই অদ্ভুতদর্শন নীল মানুষের কথাও বলছি না। সত্যিকারের নীল মানুষ রয়েছে পৃথিবীতে। আমেরিকার কেন্টাকিতে। প্রায় ২০০ বছর ধরে কেন্টাকির ফুগেট পরিবারে জন্ম হয়ে আসছে নীল ত্বক বিশিষ্ট শিশুর।
১৮০০ সালে ফ্রান্স থেকে পূর্ব কেন্টাকিতে এসেছিলেন মার্টিন ফুগেট। মার্টিন অনাথ ছিলেন। জীবনে টিকে থাকার লড়াই চালাতে চালাতে কেন্টাকিতে এসে পড়া মার্টিন এখানেই থেকে যান। বিয়ে করেন মার্কিন মহিলা এলিজাবেথ স্মিথকে। এঁদের দু’জনের সন্তানদের গায়ের রং হয় নীল। অথচ, মার্টিন-এলিজাবেথের ত্বকের রং ছিল স্বাভাবিক বা উজ্জ্বল গৌর বর্ণ। সেই থেকে শুরু। এর পরবর্তী প্রায় ২০০ বছর ধরে নীল মানুষের জন্ম হয়ে আসছে এই পরিবারে।

Advertisement

বিজ্ঞান বলছে এই পরিবারের সদস্যরা মিথেমোগ্লোবিনেমিয়া নামের এক বিশেষ জিনগত অসুখের শিকার। এক কথায় ফুগেট পরিবারের সদস্যরা মেট-এইচ (met-H) রোগের শিকার। ঠিক কী হয় এই রোগে? চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, এই জিনগত অসুখের ফলে মানুষের শরীরে এবং রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই কমে যায়। এর ফলে শরীরের ত্বকের রং গাঢ় হয়ে যায়। একই কারণে এই পরিবারের সদস্যদের ত্বকের রং নীল। ফুগেট পরিবারের সদস্যরা কিন্তু একেবারেই সুস্থ জীবনযাপন করে আসছেন দুই শতক ধরে। জিনের বিরলতম এই অসুখের জন্য বিশ্বে এই ফুগেট পরিবার এখন ‘ব্লু ফুগেটস্‌’ নামেই বেশি পরিচিত।

Advertisement

আরও পড়ুন...
চিনাদের ব্যবহার খুব খারাপ, মন্তব্য রানির

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন