Love Affair

Love Affair: দশকের দাম্পত্য শেষ দশ দিনে! যুদ্ধে দেশছাড়া তরুণীর প্রেমে গৃহত্যাগ দুই মেয়ের বাবার

বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন দম্পতি। যুদ্ধে ঘরছাড়াদের জন্য বাড়ির দ্বার অবারিত। সেই দরজা দিয়ে যে তাঁর স্বামী বেরিয়ে যাবেন, তা ভাবেননি লোরনা!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২২ ১৫:৩৩
Share:

টোনি ও সোফিয়া। টুইটার থেকে নেওয়া।

‘ক্যায়া এহি প্যার হ্যায়...’ ব্র্যাডফোর্ডের ২৬ বছরের পেশাদার নিরাপত্তারক্ষী টোনি গার্নেট কিংবা ২২ বছরের সোফিয়াকে জিজ্ঞেস করলে, তাঁরা এক বাক্যে জবাব দেবেন, হ্যাঁ। কিন্তু পরিবার বলছে, ঘোর অন্যায়!

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে প্রাণ বাঁচাতে বার্লিন হয়ে সোফিয়া আশ্রয় পেয়েছিলেন ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের ব্র্যাডফোর্ডে টোনি-লোরনার বাড়িতে। টোনি-লোরনার এক দশকের হাসিখুশি সংসারে নাকি আচমকা দাবানল লেগে গিয়েছে। সৌজন্যে সোফিয়া।

Advertisement

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হতেই নেটমাধ্যমে দম্পতি জানিয়েছিলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে ঘরছাড়াদের জন্য তাঁদের বাড়ির দ্বার অবারিত। কিন্তু সেই খোলা দরজা দিয়েই যে ‘অতিথি’ সোফিয়ার সঙ্গে তাঁর স্বামী বেরিয়ে যাবেন, দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি লোরনা! বিজ্ঞাপনে সাড়া দিয়ে বার্লিন থেকে ওই দম্পতির ব্র্যাডফোর্ডের বাড়িতে ওঠেন পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ২২ বছরের সোফিয়া। আদতে তিনি ইউক্রেনের লুভিভের বাসিন্দা। যুদ্ধে ভিটে ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

সোফিয়ার থাকার জন্য টোনি-লোরনা তাঁদের দুই মেয়ের ঘর ছেড়ে দিয়েছিলেন। মেয়েরা থাকছিল মা-বাবার সঙ্গেই। ভালই চলছিল। কিন্তু দশম দিনে ‘বিস্ফোরণ’! টোনির সঙ্গে সোফিয়ার ভাবের আদানপ্রদান ধরে ফেলেছিলেন লোরনা। অতএব, সোফিয়াকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে সোফিয়ার সঙ্গেই ব্যাগপত্তর গুছিয়ে বাড়ি ছাড়েন টোনিও! ছয় এবং তিন বছরের দুই সন্তানকে দু’পাশে নিয়ে টোনিকে বিদায় জানান হতবাক লোরনা। টোনি-লোরনার দশ বছরের সুখের দাম্পত্য ভাঙল মাত্র দশ দিনে!

Advertisement

আপাতত সোফিয়াকে নিয়ে মা-বাবার বাড়িতেই উঠেছেন টোনি। অন্য একটি বাড়ি দেখে চলে যাওয়ার কথাও ভাবছেন। লোরনার কথা ভেবে অবশ্য দুঃখও আছে টোনির। নিজেই বলছেন, ‘‘ওঁর তো কোনও দোষ নেই। কিন্তু কী করব, সোফিয়াকে ছাড়া যে বাঁচব না!’’

আর সোফিয়া বলছেন, ‘‘আমি জানি আমাদের আগামী দিনের পথ বন্ধুরতম হতে চলেছে। কিন্তু এটাই আমাদের ভালবাসার কাহিনি। টোনিকে প্রথম দিন দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম, ও আমার জন্যই, আর কারও না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement