ঠাসাঠাসি: জিব্রল্টার প্রণালী পেরিয়ে স্পেনে ঢোকার মুখে মরক্কো থেকে আসা শরণার্থী বোঝাই নৌকা। শুক্রবার। রয়টার্স
কোর্টের নির্দেশ দেওয়া সময়সীমাও পেরিয়ে গিয়েছে। তবু মেক্সিকো সীমান্তে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অম্তত ৭১১ জন শরণার্থী শিশু এখনও ফিরতে পারেনি তাদের বাবা-মায়ের কাছে। মার্কিন সরকারের আইনজীবীরা বলছেন, এই সব শিশু বাবা-মায়ের কাছে ফেরার ‘যোগ্য’ নয়। কারণ হিসেবে তাঁরা জানিয়েছেন, ওই শিশুদের সঙ্গে বাবা-মায়ের নিশ্চিত পারিবারিক সম্পর্কের প্রমাণ মেলেনি। না হলে ওই বাবা-মায়ের হয় অপরাধের রেকর্ড রয়েছে অথবা কোনও সংক্রামক রোগ রয়েছে।
৪৩১টি ক্ষেত্রে আইনজীবীরা দেখিয়েছেন, ওই শিশুদের বাবা-মায়েরা এই মুহূর্তে আমেরিকাতেই নেই। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, ১৮০০-রও বেশি শরণার্থী শিশুকে তারা পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। সেই অর্থে কোর্টের নির্দেশ পালন করা হয়েছে। বাকি ৭১১ শরণার্থী শিশুকে বাবা মায়ের কাছে ফেরত পাঠানো যায়নি নিয়মের বেড়াজালে। আমেরিকার ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট’ (আইসিই)-এর হেফাজত থেকেই বেশির ভাগ শিশু বাবা-মায়ের কাছে ফিরেছে। ৩৭৮ জনকে পাঠানো হয়েছে ‘যথাযথ’ জায়গায়। রয়ে যাওয়া ৭১১ শিশুর মধ্যে বেশ কিছু শিশু এখনও আলাদা রয়েছে ‘অ্যাডাল্ট রেড ফ্ল্যাগ’-এর কারণে। যার অর্থ শিশুরা বাবা-মায়ের কাছে ফিরলে সেটাই ঝুঁকিপূর্ণ হবে।
ট্রাম্প প্রশাসন অধিকাংশ শিশুকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করলেও সরকারের কট্টর সমালোচক ‘আমেরিকান সিভিল লির্বাটিজ় ইউনিয়ন’ বলেছে, প্রশাসনিক অফিসাররা নিজেদের মতো নির্দেশিকা ঠিক করে শিশু ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। এই সংস্থার আইনজীবীর বক্তব্য, ‘‘সরকার যা করছে, তার জন্য তাদের গর্বিত হওয়ার কথা নয়। বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে ওরা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করেছেন।’’ আপাতত যে সব শিশুর বাবা-মায়েদের আমেরিকায় খোঁজ মিলছে না, তাঁদের খুঁজে বার করা চেষ্টা করবে এই সংস্থা।