ফিদেল কাস্ত্রোকে নিয়ে বারাক ওবামার উল্টো পথে হাঁটলেন ট্রাম্প। কিউবা বিপ্লবের মুখ নবতিপর কাস্ত্রোকে ‘নৃশংস একনায়ক’ হিসেবে আখ্যা দিলেন প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট।
শনিবার কাস্ত্রোর মৃত্যুর পর কিউবার দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। প্রয়াত কমিউনিস্ট নেতার পরিবারকে এক শোকবার্তায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে কিউবার “বন্ধু ও অংশীদার” হিসাবে উল্লেখ করেন তিনি। জানিয়েছিলেন, কাস্ত্রোর প্রয়াণের সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিচার করবে ইতিহাস। শুধু তা-ই নয়, এই ঘটনা ইতিহাসে নথিবদ্ধ থাকবে বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন তিনি। চলতি বছরের মার্চেই ঐতিহাসিক হাভানা সফর করেছিলেন ওবামা। কিউবা বিপ্লবের পর সেই প্রথম কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট পা রেখেছিলেন হাভানায়। কাস্ত্রোর মৃত্যুর পর কিইবার দিকে সেই বন্ধুত্বের হাতই ফের এক বার এগিয়ে দেন তিনি।
তবে আমেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর পূর্বসূরির পথে পা বাড়াননি। কিউবা বিপ্লবের শীর্ষ নেতা কাস্ত্রো ১৯৫৯-তে ক্ষমতায় আসার পর দীর্ঘদিন মার্কিন আগ্রাসন ঠেকিয়ে রেখেছিলেন। গুণমুগ্ধেরা যেখানে তাঁকে কিউবার বন্ধু বললেও সমালোচকদের চোখে তিনি ছিলেন ‘একনায়ক’। এ দিন যেন সেই সমালোচকদের মতকেই গুরুত্ব দিলেন ট্রাম্প। কাস্ত্রোর মৃত্যুর পর তিনি বলেন, “আশা করি, কিউবার মানুষ এ বার এমন এক সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগোবেন যেখানে তাঁরা প্রাপ্য স্বাধীনতা নিয়ে বাঁচতে পারবেন।” ট্রাম্পের মতে, কাস্ত্রোর সময়কালে এক সর্বগ্রাসী দ্বীপের মতো ছিল কিউবা। তাঁর মৃত্যুতে সেই আতঙ্কের দিনগুলি এ বার বিদায় নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন
ফিদেল কাস্ত্রো প্রয়াত (১৯২৬-২০১৬)
সিঁড়ি ভাঙতে স্বপ্ন ‘মেক ইন আমেরিকা’-ই
‘তোমাকে ভুল বুঝেছিলাম!’ ফিদেলকে লিখেছিলেন চে
সাম্রাজ্যবাদী হিংসার বিরুদ্ধে নীল আকাশের নাম
৬৩৪ বার খুন করার চেষ্টা হয়েছে ফিদেলকে?
আমেরিকার নাকের ডগায় ছোট্ট দ্বীপের স্পর্ধার নাম ফিদেল কাস্ত্রো
‘বিয়ার হাগ’ দিয়ে ইন্দিরাকে চমকে দিয়েছিলেন কাস্ত্রো
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি ফিদেলের ছিল গভীর শ্রদ্ধা