সুন্দর বোঝাতেই ‘ইডিয়ট’ খুঁজলে আবার ট্রাম্প!  

সুন্দরের ব্যখ্যা, গুগ্‌লে খোঁজার কাজটা হয় পুরোপুরি যান্ত্রিক পদ্ধতিতে। এবং সেই ব্যবস্থা বেশ মজবুত। কোনও ব্যক্তিবিশেষের পক্ষে এই প্রক্রিয়াতে হেরফের ঘটানোর সুযোগ নেই। কোনও বিশেষ সময়ে কোনও শব্দ বা শব্দগুচ্ছ দিয়ে কত বার খোঁজা হচ্ছে, ওই বিষয়গুলি কত ওয়েব পাতায় আছে, গুগ্‌লের বাইরের সংস্থাগুলির কাছে সেগুলির রেটিং— এমন অনেকগুলি বিষয় বিচার করে গুগ্‌লের সার্চ ইঞ্জিন কতগুলি ওয়েব পাতা দেখায়। 

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:৫৯
Share:

বছরের গোড়ায় এমনটা হচ্ছিল। এখন আবার হচ্ছে। ইংরেজিতে ‘ইডিয়ট’ লিখে ছবি খুঁজলেই পরের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি দেখাচ্ছে গুগ্‌ল। ‘রিপাবলিকান পার্টি’ লিখে সার্চ দিলেই ‘টপ স্টোরিজ’-এ প্রথম শিরোনামের বক্তব্য ‘‘রিপাবলিকান পার্টিটাই আছে মিলিয়নেয়ার আর বিলিয়নেয়ারদের রক্ষা করতে।’’ মার্কিন প্রতিনিধিসভার হাউস কমিটিতে হাজির হয়ে কাল এ সব নিয়েই রিপাবলিকানদের কড়া কড়া অভিযোগ ও প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন গুগ্‌ল সিইও সুন্দর পিচাই। বুঝিয়েছেন, রাজনৈতিক কোনও দলের প্রতি পক্ষপাত নেই তাঁদের সংস্থার। যে কারণে গুগ্‌ল নিয়ে খুঁজলে গুগ‌্ল সম্পর্কেই অনেক নেতিবাচক পাতা উঠে আসে।

Advertisement

সুন্দরের ব্যখ্যা, গুগ্‌লে খোঁজার কাজটা হয় পুরোপুরি যান্ত্রিক পদ্ধতিতে। এবং সেই ব্যবস্থা বেশ মজবুত। কোনও ব্যক্তিবিশেষের পক্ষে এই প্রক্রিয়াতে হেরফের ঘটানোর সুযোগ নেই। কোনও বিশেষ সময়ে কোনও শব্দ বা শব্দগুচ্ছ দিয়ে কত বার খোঁজা হচ্ছে, ওই বিষয়গুলি কত ওয়েব পাতায় আছে, গুগ্‌লের বাইরের সংস্থাগুলির কাছে সেগুলির রেটিং— এমন অনেকগুলি বিষয় বিচার করে গুগ্‌লের সার্চ ইঞ্জিন কতগুলি ওয়েব পাতা দেখায়।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনুসন্ধানের ফলও তাই পাল্টাতে থাকে। কোনও বিষয় নতুন করে চর্চায় উঠে এলে, পুরনো সেই প্রসঙ্গের পাতাগুলি ভেসে ওঠে। ট্রাম্প ও রিপাবলিকান পার্টি নিয়ে বছরের গোড়ায় যে নেতিবাচক ফলগুলি দেখাচ্ছিল, এখন আবার তা সামনে আসছে— সেগুলি নিয়ে চর্চা হচ্ছে বলেই। এখন হয়তো আসছে একটু অন্য ভাবে। কেন ‘ইডিয়ট’ লিখলে ট্রাম্পের ছবি মেলে— এই সংক্রান্ত পাতাগুলি বেশি ভেসে উঠছে। এটাকে ‘গুগ‌্‌ল বম্বিং’ বলে থাকেন অনেকে। অর্থাৎ প্রশ্ন করে চর্চায় তুলে এনে রিপাবলিকান পার্টি নিজেরই পুরনো অস্বস্তি চাগিয়ে তুলছে। ট্রাম্পই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নন, এর আগে জর্জ ডব্লিউ বুশেরও অস্বস্তি বাড়িয়েছিল গুগ্‌ল। ‘মিজ়ারেবল ফেলিয়োর’ লিখলেই তাঁর ছবি দেখাত। অনেকে তাই মনে করেন, এ সব থেকে বাঁচার উপায় একটাই। কারও সম্পর্কে খারাপ কিছু দেখলে প্রশ্ন কোরো না। নয়তো সেগুলি ফের মাথা তুলবে সার্চ ইঞ্জিনে। রিপাবলিকান পার্টির নেতারা ঠিক উল্টোটাই করেছেন। ফল পাচ্ছেন হাতেনাতে।

Advertisement

গুগ্‌ল-প্লাসের ৫ কোটি ২৫ লক্ষ ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁসের কথা গত কাল কবুল করেছে সুন্দরের সংস্থা। চলতি বছরে দ্বিতীয় বার এমন ঘটল। ডেমোক্র্যাট সদস্যদের প্রশ্ন ছিল, গুগ্‌ল অ্যাকাউন্টের তথ্য যে সুরক্ষিত থাকছে, তার নিশ্চয়তা কী? এ বিষয়ে আশ্বস্ত করতে সুন্দর মনে করিয়ে দেন, গুগ্‌ল আমেরিকারই সংস্থা। অন্যান্য সংস্থার মতো আমেরিকার কেন্দ্রীয় আইন মেনে চলে। তা ছাড়া, গ্রাহক নিজেই গোপনীয়তা ও সুরক্ষার সেটিং অদল-বদল করে নিতে পারেন পছন্দ মতো। সেই ব্যবস্থাটি কতটা সরল করা যায়, গুগ্‌ল সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে। চিনে গুগ্‌ল সার্চ ইঞ্জিন কাজ করে না। সেখানকার নিয়মের জাল পেরোতে গুগ্‌ল আলাদা সার্চ ইঞ্জিন করছে

কি না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়। সুন্দর জানান, এখনও এমন সার্চ ইঞ্জিন নেই। এ বিষয়ে যা করবেন, স্বচ্ছতা রেখেই করবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন