কুয়েতে কর্মরত ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরি রক্ষায় তৎপর হল কেন্দ্র।
সম্প্রতি কুয়েতে নিয়ম হয়েছে, কাজ করতে হলে সে দেশের ‘সোসাইটি অব ইঞ্জিনিয়ার্স’-এর ছাড়পত্র লাগবে বিদেশি ইঞ্জিনিয়ারদের। ওই সংস্থা আবার ভারতীয়দের ক্ষেত্রে এ দেশের ন্যাশনাল বোর্ড অব অ্যাক্রেডিটেশন (এনবিএ) শংসাপ্রাপ্ত কলেজের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিকেই শুধুমাত্র মান্যতা দেবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে কুয়েতে কর্মরত যে সব ইঞ্জিনিয়ার এনবিএ শংসাপত্র না-থাকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, একাধিক আইআইটি, বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স থেকে পাশ করেছেন, তাঁরা বিপাকে পড়ে যান। বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের দ্বারস্থ হন ওই ইঞ্জিনিয়ারেরা। এর পরেই কেন্দ্র কুয়েতের শিক্ষা ও শ্রম মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। চলতি সপ্তাহে কুয়েত সরকারের পক্ষ থেকে একটি দল ভারতে এসে বৈঠক করেছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের উচ্চ শিক্ষা সচিব আর সুব্রহ্মণ্যমের সঙ্গে।
বৈঠকে কুয়েতের প্রতিনিধি দলকে বলা হয়েছে, ১৯৯৪ সাল থেকে এনবিএ শংসাপত্র দেওয়ার প্রথা চালু হয়েছে। দেশের প্রযুক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির কোর্সের মান যাচাই করতে ওই শংসাপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। যদিও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় বা অধিকাংশ পুরনো আইআইটি বেশি ভরসা করে ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল (নাক)-এর দেওয়া নম্বরের উপরে। তাই অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই আলাদা করে এনবিএ-র বিষয়ভিত্তিক শংসাপত্র নেয় না। অথবা ধীরে ধীরে তা নেওয়া শুরু করেছে।
মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, ‘‘প্রতিনিধি দলকে বোঝানো হয়, এনবিএ-র শংসাপত্র থাকা মানেই সেই ইঞ্জিনিয়ারের যোগ্যতা বেশি, এমন ভাবার কারণ নেই। আইআইটি, বা বেঙ্গালুরুর আইআইএসসি-র আন্তর্জাতিক পরিচিতি রয়েছে। অথচ, তাদের এনবিএ শংসাপত্র নেই।’’ বৈঠকের পরে চলতি সপ্তাহে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখে ওই প্রতিনিধি দলটি। মন্ত্রক সূত্রের মতে, যুক্তি শুনে কুয়েতের দলটি প্রাথমিক ভাবে সন্তুষ্ট। দেশে ফিরে গিয়ে সোসাইটি অব ইঞ্জিনিয়ার্স-এর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন ওই প্রতিনিধিরা।