Hafiz Saeed

প্রাণনাশের ঝুঁকি, আদালত বদলের আর্জি হাফিজের

হাফিজের আইনজীবী এ কে ডোগার অভিযোগ করেন, তাঁর মক্কেলকে লাহৌরের কোট লাকপত জেলে রাখা হলেও প্রতি বার গুজরানওয়ালার আদালতে হাজির করতে ৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লাহৌর শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:২৮
Share:

হাফিজ সইদ। — ফাইল চিত্র

প্রাণনাশের ঝুঁকির কথা জানিয়ে পাকিস্তানি পঞ্জাবের গুজরানওয়ালার সন্ত্রাস-বিরোধী আদালত থেকে লাহৌরের আদালতে তার মামলা স্থানান্তর করার আবেদন জানিয়েছিল মুম্বই হামলার অন্যতম মাথা হাফিজ সইদ। লাহৌর হাইকোর্ট সোমবার সেই মামলা গ্রহণ করেছে। সন্ত্রাসে অর্থ জোগানোর অভিযোগ এনে জামাত-উদ-দাওয়ার এই নেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল ১৭ জুলাই। এ দিন শুনানির সময়ে সরকারি কৌঁসুলি জানিয়েছেন, হাফিজের মামলা লাহৌরে সরানো হলে তাঁদের আপত্তি নেই।

Advertisement

হাফিজের আইনজীবী এ কে ডোগার অভিযোগ করেন, তাঁর মক্কেলকে লাহৌরের কোট লাকপত জেলে রাখা হলেও প্রতি বার গুজরানওয়ালার আদালতে হাজির করতে ৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। সরকার যথেষ্ট পাহারার বন্দোবস্ত করলেও পথে হাফিজের উপরে হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

রাষ্ট্রপুঞ্জ হাফিজের নাম আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীর তালিকায় তোলার পরে ১৯৯৭-এর সন্ত্রাস-বিরোধী আইনে গ্রেফতার করা হয় লস্কর-ই-তইবার এই প্রতিষ্ঠাতাকে। আন্তর্জাতিক চাপে পাকিস্তান লস্করকে নিষিদ্ধ করার পরে সে জামাত-উদ-দাওয়া নামে নতুন সংগঠন খোলে। হাফিজ ও আব্দুল রহমান মক্কি-সহ জামাত-উদ-দাওয়ার ১৩ জন নেতাকে বন্দি করেছে ইমরান খান সরকার। তবে নিজের গ্রেফতারকে চ্যালেঞ্জ করে লাহৌর হাইকোর্টে মামলা করেছে হাফিজ। সম্প্রতি সেই মামলা দুই বিচারপতির একটি বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সর্দার শামিম আমেদ। পাকিস্তান পুলিশের সন্ত্রাস-বিরোধী শাখা হাফিজের বিরুদ্ধে লাহৌর, গুজরানওয়ালা ও মুলতানে ২৩টি এফআইআর করেছে। প্রতিটিতেই অভিযোগ, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নামে টাকা তুলে সন্ত্রাসের কাজে তা ব্যবহার করা হয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন