শেখ হাসিনা। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের ‘জুলাই অভুত্থানের’ নেপথ্যে কি ‘সন্ত্রাসী’ হাফিজ় সইদের ‘নিষিদ্ধ’ সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া? শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা এবং বাংলাদেশ ত্যাগের প্রায় ন’মাস পর এই প্রশ্নই উস্কে দিল জামাতের কয়েক জন নেতার দাবিতে। তাঁরা দাবি করেন, গত বছর বাংলাদেশে যে বিশাল বিক্ষোভের মুখে পড়ে হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন, তাতে তাদের সংগঠনের ভূমিকা ছিল!
হাফিজ়ের সংগঠনের নেতা সইফুল্লা কাসুরি এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের খাতায় ‘সন্ত্রাসী’ মুজাম্মিল হাশমি দাবি করেন, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে। কাসুরির কথায়, ‘‘১৯৭১ সালে যখন পাকিস্তান ভেঙে যায় তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ১০। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি দ্বিজাতিকে বঙ্গোপসাগরে ডুবিয়ে দিয়েছেন। আমরা ১৯৭১ সালের প্রতিশোধ নিয়েছি।’’
লাহোর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে রহিম ইয়ার খানে সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় কাসুরি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের কথা উল্লেখ করেন। সেখানে তিনি স্বীকার করেন, ‘‘সেই সময় মুরিদকেতে ভারতীয় বিমান হামলায় তাঁর এক দাদা খুন হয়েছিলেন। আমাকে তাঁর শেষকৃত্যে যোগ দিতেও দেওয়া হয়নি।’’
পহেলগাঁও কাণ্ডে ‘মূলচক্রী’ হিসাবে নাম জড়িয়েছিল কাসুরির। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হয়, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে হত্যাকাণ্ড ছিল কাসুরির মস্তিষ্কপ্রসূত। সেই প্রসঙ্গ টেনে কাসুরি বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ে যখন ঘটনা ঘটে, তখন আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় ছিলাম। ভারত আমাকে ওই হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে ঘোষণা করেছে। তবে আমরা মৃত্যুকে ভয় পাই না।’’