জাপানের প্রতিনিধি হয়েই বিশ্বসুন্দরীর মঞ্চে প্রিয়াঙ্কা

বাবা ভারতীয়। কলকাতার মানুষ। কিন্তু সে পরিচয় নিয়ে তাঁর আলাদা মাথাব্যথা নেই। আর দু’মাস পরে ওয়াশিংটনে যে বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতা হচ্ছে, সেখানে জাপানের মুখ হিসেবেই নিজেকে তুলে ধরতে চান প্রিয়াঙ্কা ইয়োশিকাওয়া।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

টোকিও শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৪১
Share:

বাবা ভারতীয়। কলকাতার মানুষ। কিন্তু সে পরিচয় নিয়ে তাঁর আলাদা মাথাব্যথা নেই। আর দু’মাস পরে ওয়াশিংটনে যে বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতা হচ্ছে, সেখানে জাপানের মুখ হিসেবেই নিজেকে তুলে ধরতে চান প্রিয়াঙ্কা ইয়োশিকাওয়া।

Advertisement

বছর বাইশের এই তরুণীর বাবা ছাত্রাবস্থায় জাপানে এসেছিলেন। পরে বিয়ে এ দেশের মেয়ের সঙ্গে। টোকিওতে জন্ম হয় প্রিয়াঙ্কার। তার পরে বহু বার ভারতে এসেছেন। তবে নিজেকে জাপানি হিসেবেই চেনাতে আগ্রহী প্রিয়াঙ্কা। মিস জাপান হয়ে বিশ্বসুন্দরীদের লড়াইয়ের মঞ্চে ডাক পেয়েছেন, তাই ভারত থেকে শুভেচ্ছা উপচে পড়ছে তাঁর ঝুলিতে। তাতে খুশি হয়েও প্রিয়াঙ্কা বলছেন, ‘‘ওঁদের বলছি আমি ভারতীয় নই। আমার বাবা ভারতীয়। আমি তার জন্য গর্বিত। কিন্তু আমি নিজেকে জাপানি বলতেই পছন্দ করব।’’

অবশ্য এই ‘অর্ধেক’ ভারতীয় পরিচয়ের জন্য বিতর্কের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে। জাপানে অনেকেই বলছে, পুরোপুরি জাপানি কোনও নাগরিকেরই বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করা উচিত ছিল। প্রিয়াঙ্কাকে তারা হেনস্থা করছে ‘হাফু’ বলে। জাপানি ভাষায় যার অর্থ, অর্ধেক। মিশ্র জাতির নাগরিককে বোঝাতে হাফু শব্দটাই ব্যবহার করে জাপানিরা।

Advertisement

কিন্তু প্রিয়াঙ্কা এ সবে পাত্তা দিতে নারাজ। এর আগে আরিয়ানা মিয়ামোতো নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ মহিলার বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নিয়েও আপত্তি উঠেছিল জাপানে। এ দেশে জাতিগত এই বৈষম্যের বিরুদ্ধেই লড়তে চান প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেছেন, ‘‘আরিয়ানার আগে হাফু মেয়েরা জাপানের প্রতিনিধিত্ব করতে পারত না। ও আমাকে অনেকটাই অনুপ্রাণিত করেছে।’’

বাবার সুবাদে ভারতে এসে প্রিয়াঙ্কা অনেক বারই পা রেখেছেন কলকাতা শহরে। সেখানকার আশ্রয়হীন শিশুদের সাহায্য করতে চান। প্রিয়াঙ্কার কথায়, ‘‘আমি ওদের জন্য একটা বাড়ি বানাতে চাই। বাবা সে ব্যাপারে নানা বৈঠকও করছেন।’’ মিস জাপান-এর খেতাব পাওয়ার আগে বিচারকদেরও
জানিয়েছেন এ কথা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন