বাংলাদেশে সম্প্রতি দুই বিদেশি খুনে আইএস-এর হাত থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর দাবি, আন্তর্জাতিক মহলে সরকারের মুখে কালি মাখাতে বিরোধী জামাতে ইসলামি ও বিএনপি চক্রান্ত করে এই খুন দু’টি করিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, খুব শীঘ্রই আততায়ীরা ধরা পড়বে। চক্রান্তের বিষয়টিও প্রকাশ্যে আসবে।
সম্প্রতি ঢাকার কূটনৈতিক এলাকা গুলশনে এক ইতালীয় নাগরিককে গুলি করে খুন করা হয়। তার পরে শনিবার রংপুরে খুন হন এক জাপানি নাগরিক। আইএস-এর নাম করে দু’টি হত্যার দায় স্বীকার করা হয়। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাফ জানিয়েছিলেন, আইএসের কোনও অস্তিত্ব বাংলাদেশে নেই। বিদেশি খুনের পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্তের ইঙ্গিত তিনিও দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দিন সোজাসুজিই বলেন, ‘‘এটা বিএনপি-জামাত রাজাকারদের চক্রান্ত। সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জ ও আন্তর্জাতিক মহল বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছে। এর একটা রিঅ্যাকশন তো হবেই!’’ এই চক্রান্তে বিদেশি প্রভাবশালী শক্তির যোগ রয়েছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন হাসিনা। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে ইতালীয় খুনের পরই আমেরিকা, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার দূতাবাস বাংলাদেশে তাদের নাগরিকদের সতর্ক করা বার্তা দেন। কাজকর্মও আংশিক বন্ধ রাখা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘ভুলে যাবেন না, ১৯৭৫ (শেখ মুজিবের হত্যাকাণ্ড)-এর পরে এরা দেশে ২১ বছর রাজত্ব চালিয়েছে!’’
মার্কিন সফর শেষে দেশে ফিরে এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন হাসিনা। তিনি বলেন, দুই বিদেশি নাগরিক খুনের পরে বিএনপি-র কিছু নেতার প্রতিক্রিয়া থেকেই চক্রান্তের বিষয়টি মানুষ আঁচ করতে পারবেন। রংপুরে ইতিমধ্যেই দুই বিএনপি নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
হাসিনা বলেন, জঙ্গি শক্তির ওপর গোয়েন্দাদের নজরদারি রয়েছে। আইএস-এর কোনও তৎপরতা বাংলাদেশে নেই। তিনি আশ্বাস দেন, এ ধরনের সন্ত্রাসবাদকে তাঁর সরকার কিছুতেই মাথাচাড়া দিতে দেবে না।