আরও শক্তিশালী হচ্ছে ভারতীয় নৌসেনা। গভীর সমুদ্রে লুকিয়ে থাকা শত্রুপক্ষের ডুবোজাহাজ এ বার চিহ্নিত করা যাবে আকাশ থেকেই।
শুধু চিহ্নিত করাই নয়, নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নির্ভুল আঘাত হেনে তাকে নিকেশও করবে এই হেলিকপ্টার।
ভারতকে অ্যান্টি-সাবমেরিন এই কপ্টার বিক্রি করবে আমেরিকা। মঙ্গলবার মিলেছে সম্মতি। এম এইচ ৬০ রোমিও, এই হেলিকপ্টার বানাচ্ছে মার্কিন সংস্থা লক-হিড মার্টিন।
২৪টি কপ্টার বানাতে খরচ পড়বে ১৭,৮০০ কোটি টাকা।
দেশের উপকূল সুরক্ষিত রাখতে এই অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের প্রয়োজন ছিল অনেক দিন আগেই, জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
পুরনো সি-কিং হেলিকপ্টারের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী এই রোমিও। অ্যান্টি-সাবমেরিন এই কপ্টার হাতে পেলে নিশ্চিত ভাবেই আরও শক্তিশালী হবে ভারতীয় নৌসেনা।
যুদ্ধ বিশেষজ্ঞদের মত, সমুদ্রে নজরদারি চালাতে এবং শত্রু জাহাজ ধ্বংস করতে এটিই পৃথিবীর সেরা হেলিকপ্টার। এটি ব্যবহার করা যাবে ডেস্ট্রয়ার, ক্রুজার এবং বিমানবাহী রণতরী থেকেও।
শত্রু রণতরী ধ্বংস করার পাশপাশি সমুদ্রের বুকে তল্লাশি ও উদ্ধারকার্য চালাতেও অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে রোমিও।
ভারত মহাসাগরে চিনের বাড়তে থাকা উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই চপার ভারতীয় নৌসেনার অন্যতম বন্ধু হয়ে উঠতে পারে রোমিও, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়াও পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও ভারতের এই অস্ত্রভাণ্ডার চিন্তার কারণ হতে চলেছে বলেও মত প্রকাশ করা হয়েছে।
অ্যান্টি সারফেস ওয়ারফেয়ার বা আকাশযুদ্ধে এটি পারদর্শী। তবে একই সঙ্গে সংযোগ বিস্তার, নাভাল গানফায়ার সাপোর্ট ও লজিস্টিক সাপোর্টও মিলবে এটির থেকেই। সবমিলিয়ে ভারতীয় অস্ত্রভাণ্ডারকে অন্য মাত্র দিতে চলেছে এটি। (ছবি সৌজন্যে লকহিড মার্টিন)