আইএস হামলা কাবুলের গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে

ফের জঙ্গি হামলা কাবুলে। এ বার আফসার এলাকার গোয়েন্দা সংস্থার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ক্যাম্পাসে। টানা কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় জঙ্গিদের নিকেশ করে সেনা-পুলিশ। জঙ্গিদের পাল্টা গুলিতে জখম হয়েছেন দুই পুলিশ কর্মী। এ দিনের হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:৩৩
Share:

নজর: কাবুলের আফসার এলাকায় সেনা-টহল। সোমবার। রয়টার্স

মধ্যে মধ্যে গুলির আওয়াজ। চাপা উত্তেজনা, ভারী বুটের আনাগোনা আর অ্যাম্বুল্যান্সের সাইরেনের আওয়াজ।

Advertisement

ফের জঙ্গি হামলা কাবুলে। এ বার আফসার এলাকার গোয়েন্দা সংস্থার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ক্যাম্পাসে। টানা কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় জঙ্গিদের নিকেশ করে সেনা-পুলিশ। জঙ্গিদের পাল্টা গুলিতে জখম হয়েছেন দুই পুলিশ কর্মী। এ দিনের হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

‘‘সকাল ১০টা ১০। এক দল জঙ্গি ঢুকে পড়ে ‘ন্যাশনাল ডিরেক্টরেট অব সিকিউরিটি’ (এনডিএস)-এর একটি নির্মীয়মান ভবনে,’’ বলেন অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের মুখপাত্র নাজিব দানিশ। বাড়িটির ভিতরে গা ঢাকা দেয় জঙ্গিরা। তারা যে ঠিক কোথায় লুকিয়েছে, সেটাই বুঝে উঠতে সময় লেগে যায়। কিন্তু শেষমেশ জঙ্গিদের ছক বানচাল করে দেয় সেনা-পুলিশ। একটি গাড়ি বোমা নিয়ে এসেছিল জঙ্গিরা। দ্রুত নিষ্ক্রিয় করা হয় সেটাকেও। আইএসের সংবাদপত্র ‘আমাক’ দাবি করেছে, তাদেরই দুই জঙ্গি হামলা চালিয়েছে এনডিএস-এর ক্যাম্পাসে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফোন করলেন পুতিন

জঙ্গি-নিধন অভিযান চলাকালীন ক্যাম্পাসের কয়েক কিলোমিটার আগেই ব্লক করে দেওয়া হয়েছিল রাস্তা। আটকে দেওয়া হয় পথচলতি মানুষকে। এগনোর অনুমতি দেওয়া হয়নি সংবাদমাধ্যমকেও। পরে অভিযান শেষ হলে জানায় সেনা।

আফগানিস্তানে নতুন করে শক্তি বাড়াচ্ছে তালিবান। সেই সঙ্গে রয়েছে আইএসও। গত ৩১ মে বিস্ফোরক-ভর্তি একটি ট্রাক নিয়ে কাবুলের দূতাবাস এলাকায় হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেই ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ১৫০ জন। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার সেনাবাহিনীর উপরে হামলা চালিয়েছে তালিবান। এই অক্টোবরেও পরপর জঙ্গি হানায় ১৫০ জন নিহত হয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement