Nepal Flood

হিংসা থামতেই আরও এক বিপর্যয়ের মুখে নেপাল! ভারী বৃষ্টির জেরে হড়পা বান আর ধসে বিধ্বস্ত, মৃত অন্তত ৪৭

নেপালের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মুখপাত্র শান্তি মহত জানিয়েছেন, হড়পা বানে ১১ জন নিখোঁজ। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:৪৮
Share:

বৃষ্টি আর ধসে বিপর্যস্ত নেপাল। ছবি: রয়টার্স।

মাসখানেক আগেই হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল নেপাল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আরও এক বিপর্যয়ের মুখে ভারতের প্রতিবেশী এই দেশ। এ বার প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত নেপাল। ৩৬ ঘণ্টা ধরে ভারী বৃষ্টির জেরে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে সেখানে। বহু এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছে। জায়গায় জায়গায় ধস আর হড়পা বান নেমে আসায় পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক হয়ে উঠেছে। শুক্রবার থেকে এখনও পর্যন্ত অন্ততপক্ষে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে নেপালে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হড়পা বান আর ধসে অনেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে খবর, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ব নেপালের ইলাম। কোশী প্রদেশের পুলিশ আধিকারিক দীপক পোখরেল জানিয়েছেন, সুর্যোদয় পুরসভায় পাঁচ জন, মানসেবুং পুরসভায় তিন জন, ইলামে ছ’জন, দেউমেইয়ে তিন জন এবং ফাকফোকতুমে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ নেপালে বাজ পড়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। উদয়পুর জেলায় হড়পা বানে আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে মৃত্যুর খবর আসছে।

নেপালের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মুখপাত্র শান্তি মহত জানিয়েছেন, হড়পা বানে ১১ জন নিখোঁজ। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজে সময় লাগছে। তাঁর কথায়, ‘‘এমন অনেক এলাকা রয়েছে, যেখানে পৌঁছোনো যাচ্ছে না। ফলে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কেও বিশদে জানা যাচ্ছে না।’’ বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনাও। কাঠমান্ডুর বন্যাপ্রবণ এলাকায় উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে। নদীগুলি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ফলে নিচু এলাকাগুলি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরানোর কাজ চলছে।

Advertisement

বাগমতী, হনুমন্তে, মনোহরা, ধোবি খোলা, বিষ্ণুমতি, নাক্কাহু এবং বালখু নদীর জল হু হু করে বাড়ছে। ফলে বসতি এলাকাগুলিতেও জল ঢুকতে শুরু করেছে। বেশ কয়েকটি জেলায় ধস এবং বন্যার আশঙ্কা বেড়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, সুনসারি, উদয়পুর, সাপতারি, সিরাহা, ধনুষা, মহোত্তারি, সারলাহি, রাউতাহাত, পারসা, সিন্ধুলি, দোলাখা, রেমছাপ, সিন্ধুপালচক, কাভরেপালনচক, কাঠমান্ডু, ললিতপুর, ভক্তপুর, মাকওয়ানপুর এবং চিটওয়ান।

নেপালের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দেশের পূর্ব এবং মধ্যাংশে সোমবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি চলবে। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এবং হাইওয়ে ধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের মুখপাত্র রিনজি শেরপা জানিয়েছেন, অন্তর্দেশীয় উড়ান পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে দুর্যোগের জেরে। তবে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক। সুনসারি জেলার গভর্নর ধর্মেন্দ্র কুমার মিশ্র জানিয়েছেন, কোশী ব্যারাজের ৫৬টি স্লুইস গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement