Rishi Sunak

Sunak vs Truss: হেরে গেলেও অন্যের পাশে থাকব, বার্তা ঋষি ও ট্রাসের

কে হচ্ছেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী, তা জানতে আর এক মাসও বাকি নেই। একের পর এক বিতর্কসভা চলছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২২ ০৬:২৪
Share:

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্যে হঠাৎ মৈত্রীর বার্তা। ফাইল ছবি

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্যে হঠাৎ মৈত্রীর বার্তা।

Advertisement

কে হচ্ছেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী, তা জানতে আর এক মাসও বাকি নেই। একের পর এক বিতর্কসভা চলছে এবং দুই যুযুধান প্রার্থী পরস্পরের দিকে তির ছুড়েই চলেছেন। তবে সাম্প্রতিকতম বিতর্কসভায় লিজ় ট্রাস ও ঋষি সুনক দু’জনেই জানালেন, তাঁদের মধ্যে যিনি জিতবেন, তাঁর মন্ত্রিসভায় অন্য জনের কাজ করতে কোনও সমস্যা হবে না। পারস্পরিক বিরোধ সরিয়ে রেখে নতুন নেতৃত্বকে মেনে নিতে কোনও অসুবিধা হবে না কারও।

উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডের ডার্লিংটনে কনজ়ারভেটিভ দলের সাম্প্রতিকতম বিতর্কসভাটি ছিল। সেখানে দু’জনকেই সঞ্চালক জিজ্ঞাসা করেন, অন্য জন প্রধানমন্ত্রী হলে কি তিনি সেই মন্ত্রিসভার সদস্য হতে চাইবেন? দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক এবং বর্তমান বিদেশ তথা কমনওয়েলথ মন্ত্রী লিজ় ট্রাস দু’জনেই একবাক্যে উত্তর দেন, অন্য জন যদি প্রধানমন্ত্রী হন, এবং তাঁকে মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেন, তা হলে তিনি এক বাক্যে সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাবেন। সুনকের কথায়, ‘‘আমাদের দু’জনেরই লক্ষ্য দল ও দেশের উন্নতি। সেই লক্ষ্যে আমরা এক সঙ্গে কাজ করতে কখনওই পিছপা হব না।’’

Advertisement

এই বিতর্কসভায় ঋষি সুনক সরাসরি তাঁর এককালের অতি-ঘনিষ্ঠ বরিস জনসনকে সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, ‘‘কনজ়ারভেটিভ দলের বর্তমান এই দুরবস্থার জন্য জনসনই দায়ী।’’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, কোভিড-নীতি ভেঙে সরকারি বাসভবনে মদের আসর বসানোর জন্য দলের সাধারণ সমর্থকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন একদা ‘সকলের প্রিয়’ বরিস। তাই সুনকের রাজনৈতিক পরামর্শদাতারা তাঁকে বুঝিয়েছেন যে, জনসনের সঙ্গে এখন রাজনৈতিক দূরত্ব তৈরি করা প্রয়োজন। সুনকের রাজনৈতিক উত্থান মূলত জনসনের হাত ধরেই। মাসখানেক আগেও ওয়েস্টমিনস্টারের অন্দর থেকে শুরু করে টিভির লাইভ বিতর্কসভায়, সুনকের মুখে শুধু বরিস-বন্দনা শোনা যেত। তাই এখন তাঁর স্পষ্ট বরিস-নিন্দা অনেকের মনেই প্রশ্ন তুলছে। কনজ়ারভেটিভ দলের অনেক শীর্ষ নেতা সুনকের এই ভোলবদলকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ও বলছেন।

৭ জুলাই ইস্তফা দিয়েছিলেন জনসন। নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা হবে ৫ সেপ্টেম্বর। এই দু’মাস তিনিই দল ও দেশের দায়িত্ব সামলাবেন বলে প্রথমেই জানিয়ে দিয়েছিলেন বরিস। উপপ্রধানমন্ত্রী ডমিনিক র‌্যাবকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী করা হোক, এই দাবি মানেননি। এ বার দলের ভিতর ও বাইরে থেকে দাবি উঠেছে, প্রধানমন্ত্রী পদে যখন এখনও জনসন রয়েছেন, তা দলে দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কটের মোকাবিলায় এখনই কোনও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুন তিনি। কিন্তু ঘনিষ্ঠদের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতে এই ‘গুরুদায়িত্ব’ পালন করে এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নিতে তিনি নারাজ।

আাপতত তিনি স্লোভেনিয়ায়, স্ত্রী ক্যারির সঙ্গে বিলম্বিত মধুচন্দ্রিমা যাপনে ব্যস্ত!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন