US President

সেনেটেও কি ধাক্কা খেতে পারেন ট্রাম্প? ভোটের সুতোয় ঝুলছে ভাগ্য

বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্টক ইমপিচ করা হবে কিনা তা নিয়ে বুধবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ-এ ডেমোক্র্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা উত্তপ্ত বিতর্ক হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটই ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের পক্ষেই যায়।

Advertisement

সংবাদসংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:২১
Share:

ইমপিচমেন্টই মাথাব্যথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ছবি: এ এফপি

সেনেটে গিয়েও ধাক্কা খাবেন ট্রাম্প? মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের পক্ষে বুধবার ভোট দিয়েছে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ। তার পর থেকে এই প্রশ্নই ঘুরছে সর্বত্র।

Advertisement

ট্রাম্পকে পদ থেকে সরাতে মোট মোট দুই তৃতীয়াংশ সেনেটর অর্থাৎ ৬৭ জন সেনেটরের ভোট প্রয়োজন। এই মুহূর্তে মার্কিন সেনেটে রিপাবলিকানরা দলে ভারি। ৫৩জন সেনেটর রয়েছেন রিপাবলিকানদের পক্ষে। ফলে বেশির ভাগ রাজনৈতিক বিশ্লেষকই মনে করছেন, হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে শেষ রক্ষা না হলেও সেনেটে পেশিশক্তি দেখাবেন ট্রাম্পই। তবে ডেমোক্র্যাটরা তা মানতে রাজি নন। তাঁদের দাবি, এটা নৈতিকতার প্রশ্ন। তাই অনেক রিপাবলিকানও ট্রাম্পের বিরুদ্ধেও ভোট দিতে পারেন। এ অবস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোট যদি ট্রাম্পের বিপক্ষে যায়, তা হলে পুনরায় নির্বাচনে দাঁড়ানোর আগেই সরে যেতে হতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে।

কতদিন ধরে চলবে এই বিচার?

Advertisement

মনে করা হচ্ছে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই শুরু হতে পারে ট্রাম্পের ট্রায়াল। অতীতে, ১৯৯৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের ট্রায়াল চলেছিল প্রায় পাঁচ সপ্তাহব্যাপী। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, দীর্ঘসূত্রিতা চাইছে না কোনও পক্ষই।

আরও পড়ুন: আমেরিকার ইতিহাসে তৃতীয় বার, ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে ইমপিচ করা হল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে

কেমন এই বিচারপ্রক্রিয়া?

প্রথমেই সেনেটের স্পিকার ন্যান্সি পোলেসি বিচার প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে আইনজীবী নিয়োগ করবেন (ম্যানেজার)। নিজের পক্ষে সওয়াল করার জন্য একদল আইনজীবী পাবেন ট্রাম্প। ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগের পথও খোলা রয়েছে তাঁর জন্যে। গোটা বিচারপ্রক্রিয়াটি পরিচালনা করবেন প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলে সেনেটর, ম্যানেজার, ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী প্রত্যেকেই কথা বলতে পারবেন। পক্ষে বিপক্ষে ভোট দেওয়া যাবে।

আরও পড়ুন:‘সরফরোশি কি তামান্না’ আজ দেশ জুড়ে, সাবধানে পা ফেলতে হবে

মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, বিশ্বাসঘাতকতা, ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ নেওয়ার মতো অপরাধে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারে সেনেটের ভোট। দুই তৃতীয়াংশ ভোট বিপক্ষে গেলে প্রেসিডেন্ট ক্ষমতাচ্যুত তো হবেনই, তিনি পুনর্বার আবেদনও করতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে দায়িত্ব নেবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট।

বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্টক ইমপিচ করা হবে কিনা তা নিয়ে বুধবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ-এ ডেমোক্র্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা উত্তপ্ত বিতর্ক হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটই ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের পক্ষেই যায়। ফলে শেষ খুঁটি সেনেটে যদি সুবিধে না করতে পারেন ট্রাম্প, তবে এ যাত্রা সিংহাসন রক্ষা মুশকিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন