ইমরান কতটা সেনার রাশে, দেখবে দিল্লি

পাকিস্তানে ইমরান সরকার আদৌ স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারে কি না, সে দিকে লক্ষ রাখছে ভারত। আজ ভারতের বিদেশপ্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহ এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘‘পাক সেনাই এখনও সে দেশের সরকার চালাচ্ছে। অপেক্ষা করে দেখতে হবে নতুন প্রধানমন্ত্রী সেনার প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন কিনা।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:২৩
Share:

ইমরান। ফাইল চিত্র।

পাকিস্তানে ইমরান সরকার আদৌ স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারে কি না, সে দিকে লক্ষ রাখছে ভারত। আজ ভারতের বিদেশপ্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহ এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘‘পাক সেনাই এখনও সে দেশের সরকার চালাচ্ছে। অপেক্ষা করে দেখতে হবে নতুন প্রধানমন্ত্রী সেনার প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন কিনা।’’

Advertisement

এর আগে আমেরিকার সঙ্গে ‘টু প্লাস টু’ বৈঠকের পর বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছিলেন। আজ বিদেশপ্রতিমন্ত্রীও একই সুরে জানিয়ে দিলেন, সে দেশে এখনও সেনার শাসনই অব্যাহত। ইমরানের নাম না করে তিনি বলেছেন, ‘‘দেখা যাক উনি সেনার আধিপত্য থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন কিনা।’’ ভি কে সিংহের কথায়, ‘‘পাকিস্তানে নতুন সরকার আসার পর বদল ঘটবে কিনা তা এখনই বলা সম্ভব নয়। অপেক্ষা করে দেখতে হবে। এটা ভুললে চলবে না যে পাক সেনাই ইমরানকে ক্ষমতায় বসিয়েছে।’’

এই মন্তব্য কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করছে না কূটনৈতিক শিবির। পাকিস্তানের নতুন সরকার সম্পর্কে যে নরম-গরম নীতি নিয়ে আপাতত চলা হচ্ছে— এটি তারই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে। ইমরান আসার পর বেশ কিছু আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ করেছে দু’দেশই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চিঠি লিখে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে স্থায়ী সমাধানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। পঞ্জাবের মন্ত্রী নভজোৎ সিংহ সিধু কেন্দ্রের অনুমতিক্রমেই হাজির থেকেছেন ইমরানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া সিধুকে জড়িয়ে ধরে কথা দিয়েছিলেন, শিখ তীর্থযাত্রীদের জন্য শীঘ্রই কর্তারপুর সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে। এটি করা হলে নিঃসন্দেহে তা সার্ক-এর আগে দৃষ্টান্তমূলক আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ হিসাবে গণ্য হবে। তবে এখনও কোনও সক্রিয়তা দেখায়নি ইসলামাবাদ। পাক সূত্রে বলা হচ্ছে, ভারত আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুরোধ না পাঠালে কিছু করা সম্ভব নয়।

Advertisement

নভেম্বরে ইসলামাবাদে সার্ক সম্মেলন করতে তৎপর পাকিস্তান। ভারতকে বুঝিয়েসুঝিয়ে তাতে যোগ দেওয়ানোটা কূটনৈতিক অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ছে ইমরান খানের। কিন্তু সামনেই লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে পাক প্রশ্নে উদ্বাহু হতে চাইছে না দিল্লি। বরং বিভিন্ন মঞ্চে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস এবং পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মুখ খুলছে বিদেশ মন্ত্রক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন