ইমরান খান। ছবি: ফাইল চিত্র।
নেতা হিসাবে দুর্বল ইমরান খান। সেনার হাতের পুতুল হয়ে বসে আছেন। কাজের কাজ কিছু করছেন না। আগে নিজের কাজটা ভাল করে করুন তিনি। তারপর না হয় কাশ্মীরের ব্যাপারে নাক গলাবেন। এমন সব মন্তব্য করলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন রাজনীতিক নাদিম নুসরত।
পাকিস্তানের ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল ‘মুত্তাহিদা কাউমি মুভমেন্ট’। তাদেরলন্ডন শাখার দায়িত্বে রয়েছেন নাদিম নুসরত। সেই সঙ্গে সংবাদ সংস্থা ‘ভয়েস অব করাচি’র চেয়ারম্যান। একইসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক সংস্কার সংক্রান্ত সংগঠনের সদস্যও তিনি। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি।
নাদিম নুসরতের কথায়, ‘‘জন্মলগ্ন থেকেই পাকিস্তানের রাশ সেনার হাতে। নিজের মতো করে বিদেশ নীতি হয়তো সাজাতে পারেন ইমরান খান। তবে তার বাস্তবায়ন আদৌ হবে কিনা সন্দেহ। কারণ সেনাই সব সিদ্ধান্ত নেয়। এত সহজে কি তারা ইমরানকে জমি ছেড়ে দেবে?’’
আরও পড়ুন: ব্যয় সংক্ষেপের হদ্দমুদ্দ! এ বার মোষ নিলামে তুললেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান
আরও পড়ুন: আদর্শ বাংলাদেশ, পরামর্শ ইমরানকে
পাক সেনা ও গোয়েন্দারা ইমরানকে যে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেবে না, তার সপক্ষে যথেষ্ট যুক্তিও দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘সরকারকে তোয়াক্কাই করে না পাক সেনা ও গোয়েন্দা বিভাগ। তাই নরেন্দ্র মোদী ও নওয়াজ শরিফের সাক্ষাতের পরই পঠানকোটে হামলা হয়েছিল। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির সঙ্গে শরিফের সাক্ষাতের পর বিস্ফোরণ ঘটেছিল কাবুলে। ওরাই যত নষ্টের গোড়া। পড়শি দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠতে দেয় না।’’
দ্বিপাক্ষিক বৈঠক বাতিল করা নিয়ে সম্প্রতি দিল্লির সমালোচনা করেন পাক বিদেশমন্ত্রী মেহমুদ শাহ কুরেশি। তাঁকেও একহাত নিয়েছেন নাদিম নুসরত। তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতির জন্য পাকিস্তানই দায়ী। অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো না মিটিয়ে অন্য কাউকে দোষারোপ করা উচিত নয় তাদের। ওদের অনেক জবাবদিহিও করতে হবে। জানাতে হবে, লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি নেতাদের কেন স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেখানে?’’
বালুচিস্তান ও সিন্ধু প্রদেশে নিত্য ঘটে যাওয়া নৃশংসতা নিয়েও পাকিস্তানকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, ‘‘ভারত আফগানিস্তানকে যথাসাধ্য সাহায্য করে।ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে চরবৃত্তিরও অভিযোগ রয়েছে দিল্লির। তাতে আপত্তি পাক সরকারের। আফগানিস্তানকে আজও গুরুত্ব দেয় না তারা। ভুলে যায় ওটা একটা সার্বভৌম দেশ। খালি কাশ্মীর নিয়েই যত মাথাব্যথা ওদের। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে কিনা খুঁজে বেড়ায়। অথচ করাচিতে এখনও পর্যন্ত ২৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বালুচিস্তান ও সিন্ধু প্রদেশে প্রায় রোজই অপহরণের ঘটছে।সেদিকে নজর নেই ইসলামাবাদের। অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো না মেটালে পড়শি দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক হবে কী করে?’’
তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার পাক সেনা ও গুপ্তচরবাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন নাদিম নুসরত।