ফাইল চিত্র
‘‘পাকিস্তান আগে ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দিয়েছে। এখন আশ্রয় দিচ্ছে মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদকে।’’ পাকিস্তানকে জঙ্গিদের মদতদাতা তকমা দিয়ে রাষ্ট্রুপঞ্জে ঠিক এ ভাষাতেই আক্রমণ শানাল ভারত।
ভারতের এই বক্তব্যকে অনেকেই ইটের বদলে পাটকেলের সঙ্গে তুলনা করছেন। রাষ্ট্রপুঞ্জকে মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করে এ বারও ফের কাম্মীর ইস্যু তুলে ধরার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। আর তাতেই পাল্টা দেয় ভারত। পাকিস্তানের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে গতকাল রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের সেকেন্ড সেক্রেটারি মিনি দেবী কুমাম বলেন, ‘‘গণতন্ত্রের পাঠ পাকিস্তানের কাছ থেকে কেন শিখবে ভারত? পাকিস্তানের রাস্তায় তো জঙ্গিরা নির্ভয়ে ঘুরে বেড়ায়। পাকিস্তানের কাছ থেকে ভারতের শেখার মতো কিচ্ছু নেই।’’
এর আগেও পাকিস্তান ও ভারতের বহু উত্তপ্ত বাদানুবাদ দেখেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। গত বছর এই রাষ্ট্রপুঞ্জেই পাকিস্তানকে ‘টেররিস্তান’ নামে সম্বোধন করেছিল ভারত। সেখান থেকে এক কদম এগিয়ে মিনি দেবী কুমাম বলেন, ‘‘পাকিস্তান হল বিশ্বের বিশেষ সন্ত্রাসবাদী অঞ্চল (স্পেশাল টেররিস্ট জোন)... জঙ্গিদের সুবিধা দিতেই সমস্ত রকমের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পাক সরকার।’’
আরও পড়ুন: কিমের আমন্ত্রণে সাড়া! চমকে দিলেন ট্রাম্প
গোটা বিশ্বের উদ্বেগ সত্ত্বেও পাকিস্তান যে জঙ্গিদের মদত দিয়ে চলেছে, তা প্রমাণের জন্য চেষ্টার কসুর করছে না ভারত। মিনি দেবী কুমাম বলেন, ‘‘ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তান আশ্রয় দিয়েছিল।তালিকায় রয়েছে মোল্লা ওমর কিংবা হাফিজ সইদের মতো জঙ্গির নাম।’’
পাকিস্তানকে জঙ্গিদের মদতদাতা হিসেবে তকমা দেওয়ার পাশাপাশি ভারতের অভিযোগ, সে দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার চলছে। রেহাই পাচ্ছেন না শিয়া, আহমেদিয়া-র মতো মুসলিম সংখ্যালঘুরাও। রাষ্ট্রপুঞ্জে মিনি দেবী কুমামের বক্তব্য, ‘‘পাকিস্তান গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা হাস্যকর শোনায়।’’