Subrahmanyam Jaishankar

চিন নিয়ে ফের আক্ষেপ জয়শঙ্করের গলায়

ভারত অবশ্যই প্রকাশ্যে চিন-বিরোধী কোনও আন্তর্জাতিক জোটের কথা বলছে না। এমনকি, এ বিষয়ে চিনের পক্ষ নিয়ে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সাউথ ব্লককে খোঁচাও মেরেছেন সম্প্রতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:৫৯
Share:

ছবি: রয়টার্স।

বহু যত্ন এবং অধ্যবসায়ের সঙ্গে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক জোড়া লাগানো হয়েছিল। গত কয়েক মাসে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন পূর্ব লাদাখে চিনা সেনার আগ্রাসনের ফলে তা আবার সেই তিমিরেই ফিরে যাচ্ছে। বণিকসভা ‘ফিকি’ আয়োজিত একটি আলোচনাচক্রে আজ এই মর্মে আক্ষেপ করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

Advertisement

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে গত কালই আমেরিকান সেনেট-এর দ্বিদলীয় গোষ্ঠী সেনেট ইন্ডিয়া ককাস-এর কো-চেয়ারম্যান এবং ডেমোক্র্যাট নেতা মার্ক ওয়ার্নার চিন-বিরোধী আন্তর্জাতিক জোটে খোলাখুলি ভারতকে শামিল হওয়ার ডাক দিয়েছেন। তাঁর মন্তব্য, ভারতের এ বার গা ঝেড়ে দাঁড়ানো উচিত। চিন যে ‘স্বৈরাচারী পুঁজিবাদের মডেল’ আমদানি করেছে, তার মোকাবিলা না করে পাশ কাটিয়ে যাওয়া যায় না। ওয়ার্নারের কথায়, “ভারতকেই এ বার সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সে গণতান্ত্রিক দেশগুলির সঙ্গে জোট গড়বে কি না। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত। আমরা আশা করি, ভারত এই জোটে যোগ দেবে।’’ এই ডেমোক্র্যাট সেনেটরের বক্তব্য, জো বাইডেন সরকার চিনের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েই চলবে।

ভারত অবশ্যই প্রকাশ্যে চিন-বিরোধী কোনও আন্তর্জাতিক জোটের কথা বলছে না। এমনকি, এ বিষয়ে চিনের পক্ষ নিয়ে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সাউথ ব্লককে খোঁচাও মেরেছেন সম্প্রতি। তিনি বলেছেন, আমেরিকা তাদের চিন-বিরোধিতার অস্ত্র হিসাবে নয়াদিল্লিকে কাজে লাগাচ্ছে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রত্যেকের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক স্বাধীন, তা কোনও তৃতীয় রাষ্ট্রের উপর নির্ভর করে না। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমেরিকার নেতৃত্বে ‘কোয়াড’ গঠিত হলেও নয়াদিল্লি বার বার স্পষ্ট করে দিয়েছে, এই উদ্যোগ বিশেষ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়। উদার, উন্মুক্ত এবং সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলার জলবাণিজ্যই ভারতের সাগরনীতি।

Advertisement

আরও পড়ুন: টেক্সাসও হতাশ করল ট্রাম্পকে, ভোটবাতিলের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

আরও পড়ুন: চিনই দায়ী, তোপ সাউথ ব্লকের

তবে মুখে না বললেও চিন নিয়ে ভারতের হতাশা সম্প্রতি প্রকাশ পাচ্ছে নেতৃত্বের কথায়। জয়শঙ্কর আজ বলেছেন, “প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। কারণ অন্য দেশটি (চিন) দ্বিপাক্ষিক সীমান্ত চুক্তি মান্য করেনি। তারা সীমান্তে সেনা বাড়িয়ে চলেছে।’’ বিদেশমন্ত্রীর কথায়, “এর ফলে চিন প্রশ্নে আমাদের দেশের আবেগ ধাক্কা খাচ্ছে। অনেক সতর্কতা এবং যত্নের সঙ্গে সব ঠিক করা হয়েছিল।’’

চিনের পাশাপাশি আজ আমেরিকার নতুন প্রশাসন নিয়েও মতামত জানান জয়শঙ্কর। তিনি আশাবাদী, বাইডেন সরকারের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তির বিষয়টি ফলপ্রসূ হবে। জয়শঙ্করের কথায়, “আমাদের এবং আমেরিকার অর্থনীতি একে অপরের পরিপূরক। ফলে এ ব্যাপারে আমরা লক্ষ্য স্থির করে এগোবো আগামী দিনে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র বাণিজ্য নয়, এই চুক্তিকে কৌশলগত দৃষ্টিকোণেও বিচার করতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন