এই প্রথম বার ডোকলাম সঙ্কট নিয়ে মুখ খুললেন চিনের বিদেশ মন্ত্রী। কিন্তু প্রথম দিনেই বিতর্কিত দাবি করলেন। ছবি: এএফপি।
ভারত ‘স্বীকার’ করেছে যে ভারতের বাহিনীই সীমান্ত পেরিয়ে চিনা এলাকায় ঢুকেছে। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করল বেজিং। কোনও আমলা বা মুখপাত্র নন, খোদ চিনা বিদেশ মন্ত্রীই মঙ্গলবার এই মন্তব্য করেছেন। ডোকলামে দেড় মাস ধরে চিন এবং ভারতের মধ্যে যে টানাপড়েন চলছে, তা নিয়ে চিনের বিদেশ মন্ত্রক একাধিক বার বিবৃতি দিলেও বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং য়ি নিজে বিষয়টি নিয়ে এত দিন মুখ খোলেননি। এ দিনই প্রথম বার ডোকলাম নিয়ে তিনি বিবৃতি দিলেন এবং বিতর্কিত মন্তব্য করলেন।
ডোকলামের যে এলাকায় ভারতীয় এবং চিনা সেনা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে, সেই এলাকা চিনের বলে বেজিং দাবি করছে। কিন্তু ভারত এবং ভুটান বার বারই বলছে ওই এলাকা চিনের নয়। ওই এলাকায় চিন রাস্তা বা সামরিক পরিকাঠামো তৈরি করলে ভারতের নিরাপত্তা ক্ষুণ্ণ হয় বলেও দিল্লি একাধিক বার জানিয়েছে। দু’পক্ষই নিজের অবস্থানে অনড়। তার জেরেই ভারত এবং চিনের বিশাল বাহিনী প্রায় দেড় মাস ধরে পরস্পরের মুখোমুখি ডোকলামে।
আরও পড়ুন: ‘মূল চক্রী’ ডোভালের বেজিং সফরে কী হবে? দ্বিধাবিভক্ত চিনের সরকারি মিডিয়া
সীমান্তের এই টানাপড়েন নিয়ে মুখ খুলে চিনা বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং য়ি-র দাবি, ভারত সরকারের পদস্থ কর্তাব্যক্তিরা প্রকাশ্যেই মেনে নিয়েছেন যে চিন ভারতের এলাকায় ঢোকেনি। তিনি বলেছেন, ‘‘ঘুরিয়ে ভারত স্বীকার করে নিয়েছে যে তারাই চিনের এলাকায় ঢুকেছে।’’
ভারত অবশ্য চিনা বিদেশ মন্ত্রীর এই মন্তব্যকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না। ভারতীয় সেনা চিনের এলাকায় ঢুকেছে, এমন কথা এক বারও নয়াদিল্লির তরফে বলা হয়নি। জানাচ্ছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং বিদেশ মন্ত্রকের পদস্থ কর্তারা। বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, ত্রিদেশীয় সীমান্তের স্থিতাবস্থা নষ্ট করছিল চিন। তাই ভারত সেখানে সেনা পাঠাতে বাধ্য হয়েছে।