এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি বাধা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ব্রিটেনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ। বর্ণবৈষম্যের কারণেই তরুণীকে আক্রমণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সে দেশের পুলিশ। অভিযুক্ত এখনও অধরা। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে। অভিযুক্তের সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ করেছে পুলিশ। তাঁর সম্পর্কে যে কোনও রকম তথ্য জানলে অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তা জানাতে বলা হয়েছে।
উত্তর ব্রিটেনের ওয়েস্ট মিডল্যান্ড্সে নিগ্রহের শিকার হয়েছেন ২০ বছরের ওই তরুণী। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত। অভিযোগ, বাড়িতে ঢুকে এক শ্বেতাঙ্গ যুবক তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। ওয়েস্ট মিডল্যান্ড্স পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। তারা জানিয়েছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় ওয়ালসালের পার্ক হল এলাকায় তাদের ডাকা হয়। এই অপরাধকে ‘বর্ণবৈষম্যমূলক আক্রমণ’ হিসাবে দেখা হচ্ছে।
এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। তার মধ্যে থেকেই একটি প্রকাশ করে সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছে। ওই ফুটেজে কালো কোট পরে অভিযুক্তকে হেঁটে যেতে দেখা যাচ্ছে। পুলিশের বর্ণনা অনুযায়ী, যুবক শ্বেতাঙ্গ, তাঁর চুল ছোট করে ছাঁটা, বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। ঘটনার সময় কালো পোশাক পরে ছিলেন অভিযুক্ত। ব্রিটেন পুলিশের গোয়েন্দা সুপার (ডিএস) রোনান টাইরার বলেন, ‘‘তরুণীর উপর ভয়াবহ আক্রমণ হয়েছে। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে যথাসাধ্য চেষ্টা আমরা করছি। আমাদের আধিকারিকেরা তথ্য সংগ্রহ করছেন। ওই যুবককে কেউ যদি দেখে থাকেন, তাঁর কোনও আচরণে যদি কারও সন্দেহ হয়ে থাকে, আমাদের জানান।’’ কারও কাছে যদি অন্য কোনও সিসিটিভি ফুটেজ থাকে, তা-ও দেখতে চেয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে ব্রিটেনের ওল্ডবারি এলাকায় আরও এক শিখ মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। ওয়েস্ট মিডল্যান্ড্সের ধর্ষিতাও পঞ্জাবি শিখ বলে দাবি করেছে ব্রিটেনের স্থানীয় শিখ ফেডারেশন। তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। পূর্বের ঘটনার সঙ্গে এর কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তবে পুলিশ এখনই এর সঙ্গে অন্য কোনও ঘটনার মিল খুঁজতে রাজি নয়।