International News

ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ চিকিৎসকের রেকর্ড গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অর্পণ

সোমবার শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব মেডিসিন এবং ব্যাচেলর অব সার্জারি— জোড়া ডিগ্রি লাভ করেছেন অর্পণ। সে দিন তাঁর বয়স ছিল ২১ বছর ৩৩৫ দিন। অর্পণের আগে এই রেকর্ড ছিল র‌্যাচেল ফায়ে হিলের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৭ ২১:২৬
Share:

সোমবার শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় জোড়া ডিগ্রি লাভ করেছেন অর্পণ। ছবি: সংগৃহীত।

বয়স মাত্র ২১ পেরিয়েছে। এর মধ্যেই একটি অনন্য রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন এই তরুণ। ব্রিটেনের সবচেয়ে কমবয়সী চিকিসৎকের তকমা পেয়ে গিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অর্পণ দোশী। আগামী অগস্টেই ইয়র্কের একটি হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তার হিসেবে কাজ শুরু করবেন তিনি।

Advertisement

সোমবার শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব মেডিসিন এবং ব্যাচেলর অব সার্জারি— জোড়া ডিগ্রি লাভ করেছেন অর্পণ। সে দিন তাঁর বয়স ছিল ২১ বছর ৩৩৫ দিন। অর্পণের আগে এই রেকর্ড ছিল র‌্যাচেল ফায়ে হিলের। চিকিৎসকের ডিগ্রি মেলার সময় র‌্যাচেলের বয়স ছিল ২১ বছর ৩৫২ দিন। তবে এই রেকর্ড সম্পর্কে নাকি কিছুই জানতেন না অর্পণ। তিনি বলেন, “আমি তো রেকর্ডের বিষয়টাই জানতাম না। আমার বন্ধুরাই ইন্টারনেট ঘেঁটে এই তথ্য বের করেছে। তাঁরাই গোটা ব্যাপারটা আমাকে জানায়।” তবে মা-বাবাকে এ নিয়ে এখনও কিছু জানাননি অর্পণ।

আরও পড়ুন

Advertisement

৫০০ কোটি ডলার ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন ক্লিন্টন: শরিফ

অর্পণের মা-বাবারা আদতে গুজরাতের গাঁধীনগরের বাসিন্দা। বছর তেরো পর্যন্ত সেখানকার স্থানীয় স্কুলেই পড়াশোনা করেছেন অর্পণ। ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ১৩ বছর বয়সে বাবা ভরত দোশী সে দেশের একটি বেসরকারি ফার্মে কাজের সুযোগ পান। সে সময় পরিবার নিয়ে ভারত থেকে ফ্রান্সে পাড়ি দেন ভরত। সেখানেই বসবাস করতে শুরু করেন তাঁরা। এর পর ফ্রান্সের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা শুরু করে কিশোর অর্পণ।

১৭ বছর বয়সে ব্রিটেনের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার জন্য আবেদনপত্র পাঠানো শুরু করেন অর্পণ। প্রাথমিক ভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর আবেদনপত্র খারিজ করে দিলেও নিরাশ হননি তিনি। কিছু দিন পরেই ব্রিটেনের আরও তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর আবেদনপত্র গ্রহণ করে। এর মধ্যে শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ও ছিল। অর্পণের আবেদনপত্র দেখে শেফিল্ড কর্তৃপক্ষ এতটাই মুগ্ধ হন যে সঙ্গে সঙ্গে তা গৃহীত হয়। শুধু তা-ই নয়, তাঁকে ১৩ হাজার পাউন্ডের স্কলারশিপও দেন তাঁরা। এর পর পড়াশোনার খরচ যোগাতে পার্ট-টাইম চাকরিও করতে শুরু করেন অর্পণ।

অবশেষে নিজের কঠোর পরিশ্রমের ফল মিলেছে অর্পণের। ভবিষ্যতের জন্য এখন থেকে পরিকল্পনা শুরু করে ছিয়েছেন তিনি। অর্পণ বলেন, “হার্ট সার্জেন হওয়াটাই আমার স্বপ্ন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement