প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দেশে চাকরি করতে নতুন এইচওয়ান-বি ভিসা পাওয়ার ‘গেরো’গুলি এ বার কিছুটা আলগা হতে পারে ভারতীয় ছাত্রদের জন্য। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিতের সুবাদে।
শর্ত দু’টো। আমেরিকায় জন্মাতে হবে। আর বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং বা গণিতে একটা পিএইচডি করতে হবে মার্কিন মুলুকের কোনও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তা হলেই গ্রিন কার্ড এবং এইচওয়ান-বি ভিসা নিয়ে মার্কিন মুলুকে কাজ করতে আর তেমন অসুবিধা হবে না বিদেশিদের। যেহেতু বিজ্ঞান, প্রযুক্তিতে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করা বিদেশি ছাত্রদের মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যাটাই সবচেয়ে বেশি, তাই নতুন এইচওয়ান-বি ভিসা আইনেও শিকেটা ছিঁড়তে চলেছে ভারতীয় ছাত্রদের ভাগ্যেই! ‘ওদের কিছু বাড়তি সুযোগসুবিধা দেওয়া হলে আমাদেরই ভাল’, এই যুক্তিতে।
মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে নতুন যে পরিমার্জিত এইচওয়ান-বি ভিসা বিলটি পেশ করেছেন কংগ্রেসের দুই সদস্য এরিক পলসেন ও মাইক কুইগলে, তাতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, ‘‘এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, ডিগ্রি বাড়ানোর জন্য বিশ্বের সব প্রান্ত থেকেই সেরা মেধা আসে আমেরিকায়। আমরা যাতে সব রকম ভাবে তাঁদের সাহায্য করতে পারি, আমাদের সেই ব্যবস্থাটা করা উচিত। কারণ, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সেই সব মেধাবীরা আমাদের দেশে এসে যা শিখলেন, তাঁদের আমরা যা যা প্রশিক্ষণ দিলাম, তার সুফলটা পেতে পারে আমাদের অর্থনীতিই। তাই আমেরিকায় জন্মানো ও মার্কিন মুলুকেই পড়াশোনা ও পিএইচডি করা বিদেশিদের ক্ষেত্রে নতুন ভিসা বিলটির বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করা উচিত।’’
আমেরিকায় কর্মরত ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী
ওই বিলটি আবার পেশ করতে গিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের অন্যতম সদস্য এরিক পলসেন বলেছেন, ‘‘অত্যন্ত দক্ষ, মেধাবী ও ভাল ভাল ডিগ্রিধারী কর্মীর যথেষ্টই অভাব রয়েছে মার্কিন মুলুকের সংস্থাগুলিতে। নতুন এইচওয়ান-বি ভিসা আইনের পরিমার্জন করে সেই অভাবটা অনায়াসেই মেটানো যায়। ওই দক্ষ কর্মীদের দিয়ে নতুন নতুন আবিষ্কার ও যন্ত্র উদ্ভাবন সম্ভব হবে। তাতে মার্কিন অর্থনীতিই উপকৃত হবে আরও বেশি।’’
আরও পড়ুন- লাদেন-নিকেশের রাতে কী হয়েছিল? মুখ খুললেন তাঁর চতুর্থ স্ত্রী
গত মাসেই এইচওয়ান-বি ভিসা আইন কড়া করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তি দিয়েছিলেন, ওই ভিসার জন্যই আমেরিকায় মার্কিনদের জন্য কাজের ক্ষেত্র সঙ্কুচিত হচ্ছে।
কিন্তু এইচওয়ান-বি ভিসা আইনের পরিমার্জিত রূপটি হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভিসে পেশ করতে গিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য মাইক কুইগলে বলেছেন, ‘‘বরং উল্টোটাই সত্যি। আমেরিকা থেকে ডিগ্রি আর প্রশিক্ষণ নিয়ে ওই বিদেশি ছাত্ররা অন্য দেশে গিয়ে সেই সব দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটাবেন, তাঁদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে। তাতে মার্কিন অর্থনীতির লাভের চেয়ে ক্ষতিটাই হবে বেশি।’’