চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: রয়টার্স
উ়়ড়ান শুরুর ১৩ মিনিটের মাথায় ১৮৯ জন যাত্রীকে নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার জাভা সাগরে ভেঙে পড়ে লায়ন এয়ারের বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান। ঘটনার এক মাস পরে আজ তদন্তকারীরা জানালেন, ওই বিমান ওড়ার উপযুক্তই ছিল না।
যাত্রী নিরাপত্তার ক্ষেত্রে লায়ন এয়ারের গা-ছাড়া মনোভাব নিয়ে আগেই আঙুল তুলেছিল পরিবহণ নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংস্থা। ব্ল্যাক বক্স ঘেঁটে তদন্তকারীরা জানান, বিমানটির ‘এয়ারস্পিড ইন্ডিকেটর’-এ বড়সড় গোলমাল ছিল। আগে থেকেই। সে দিন তো বটেই, চালক আগের কিছু উড়ানেও সেটা টের পান। তার পরেও কেন ওড়ার অনুমতি দেওয়া হল, প্রশ্ন উঠছে। প্রশাসনের দাবি, যান্ত্রিক ত্রুটি আছে জেনেও চালক সে দিন উড়ান অব্যাহত রাখেন। গোড়ায় যদিও বলা হয়, চালক বিমান ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছিলেন। আগামী বছরের আগে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যাবে না। তাই বিমান প্রস্তুতকারক কিংবা উড়ান সংস্থা— এখনই কাউকে কাঠগড়ায় তুলছেন না তদন্তকারীরা। তা ছাড়া, ‘ককপিট ভয়েস-রেকর্ডার’ মেলেনি। আমেরিকায় তৈরি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স গোত্রের এই বিমানগুলি গত বছরেই বাজারে এসেছে। তাই গোড়াতেই গন্ডগোল কি না, প্রশ্ন উঠছে। আমেরিকার বিমানচালক সংগঠনের দাবি, নতুন ম্যাক্স বিমানের কন্ট্রোল সিস্টেমে যে সব বদল আনা হয়েছে, তা নিয়ে উড়ান সংস্থা বা চালকদের কিছুই জানায়নি বিমানপ্রস্তুতকারী সংস্থা।