International News

চুমু থেকে সংক্রমণ, মারা গেল ১৮ দিনের ছোট্ট মারিয়ানা

ভালবেসে মারিয়ানাকে চুমু খেয়েছিলেন তার বাবা-মা, আত্মীয়রা। সকলেই চেয়েছিলেন আদরে-ভালবাসায় খুদেকে জড়িয়ে রাখতে। কিন্তু সেই ভালবাসার চুমুই যে কাল হবে, ছিনিয়ে নেবে একরত্তি মেয়েটাকে তা বোধহয় ছিল কল্পনারও অতীত। সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন মারিয়ানার মা নিকোল। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন মারিয়ানার বেঁচে না থাকার সেই খবর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৭ ০৯:১৮
Share:

বাবা-মায়ের সঙ্গে ছোট্ট মারিয়ানা। ছবি: নিকোল সিফ্রিটের ফেসবুক পেজের সৌজন্যে

মাত্র ১৮ দিন বয়স হয়েছিল। ওই কয়েকটা দিন, কয়েকটা ঘণ্টাতেই নিজের ছোট্ট উপস্থিতি দিয়ে নিকোল আর শেন সিফ্রিটের জীবনটা ভরে দিয়েছিল ছোট্ট মারিয়ানা। ফুলের মতো ফুটফুটে মেয়ে। কিন্তু এমন পরিণতিতে শেষ হবে তাঁর জীবন, কে ভেবেছিল?

Advertisement

ভালবেসে মারিয়ানাকে চুমু খেয়েছিলেন তার বাবা-মা, আত্মীয়রা। সকলেই চেয়েছিলেন আদরে-ভালবাসায় খুদেকে জড়িয়ে রাখতে। কিন্তু সেই ভালবাসার চুমুই যে কাল হবে, ছিনিয়ে নেবে একরত্তি মেয়েটাকে তা বোধহয় ছিল কল্পনারও অতীত। সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন মারিয়ানার মা নিকোল। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন মারিয়ানার বেঁচে না থাকার সেই খবর।

আরও পড়ুন: ফের মেয়ে হওয়ায় জঙ্গলে ফেললেন মা, বরাত জোরে বাঁচল সাত মাসের শিশু

Advertisement

এইচএসভি-১ নামের একটি ভাইরাসের দ্বারা সংক্রমিত হয়েছিল মারিয়ানা। কারও চুমু থেকেই ভাইরাসটি বাসা বেঁধেছিল ছোট্ট শরীরে। দ্রুতই তা ছড়িয়ে পড়ে। জন্মের কয়েক দিন পর থেকেই তাই মারাত্মক সর্দি বসে গিয়েছিল মারিয়ানার। সেখান থেকে ভাইরাস আক্রমণ করে মস্তিষ্কের কোষে। এরপর মেরুদণ্ড হয়ে ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত দেহে। শেষের কয়েকটা দিন ইউনিভার্সিটি অব লোয়া চিল্ড্রেন’স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল সে। মাত্র ১৮ দিন বয়সে মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় মারিয়ানার।

হাসপাতালের বেডে তখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ছোট্ট মারিয়ানা

‘হু’-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নিকোল জানান, একদিন সকালে হঠাৎই নড়াচড়া বন্ধ করে দেয় মারিয়ানা। খাওয়া-দাওয়া, স্বাভাবিক কাজকর্মও বন্ধ করে দিয়েছিল। মারিয়ানাকে নিয়ে যাওয়া হয় শিশু হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা জানান, ভয়ঙ্কর ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে মারিয়ানার দেহে। এইচএসভি-১ টাইপের এই ভাইরাস কারও খোলা মুখ বা চুমু থেকেই বাহিত হয়।

নিকোলের ফেসবুক পোস্ট

ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যালাবাসাস পেডিয়াট্রিক্স তানিয়া অল্টম্যান জানালেন, কারও শরীরে এই ভাইরাস থাকলে চুমু থেকে তা ছড়ানো খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। বিশেষত প্রথম দু’মাস বাচ্চাদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতাও বেশি থাকে। মারিয়ানার ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছিল। তবে মারিয়ার মা-বাবা নিকোল ও শেনের শরীরে এই ভাইরাস ছিল না বলে জানা গিয়েছে। কী ভাবে, কার কাছ থেকে ওই ভয়ঙ্কর ভাইরাস মারিয়ানার দেহে এল তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন