Britain

সংক্রমণ রোধে আইন ব্রিটেনে

নতুন করে লকডাউন জারি করেছে স্পেনও। ব্রিটেন লকডাউনের সঙ্গে বেশ  কিছু নিয়ম করেছে। যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এক জায়গায় ছ’জনের বেশি জড়ো হওয়া যাবে না। এ নিয়ে গত দু’সপ্তাহে প্রবল বিক্ষোভ হয়েছে লন্ডনে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৪৭
Share:

প্রতিবাদ, বিক্ষোভে উত্তাল ব্রিটেন। ছবি রয়টার্স।

দেশজোড়া বিক্ষোভ উপেক্ষা করে আজ থেকে নয়া করোনা-আইন জারি হল ব্রিটেনে। নিয়ম না-মানলেই ১ হাজার থেকে ১০ হাজার পাউন্ড জরিমানা! গোটা বিশ্বে মৃত্যু ১০ লক্ষ ছাড়িয়েছে গত কাল। সংক্রমণ ৩ কোটি ৩৪ লক্ষের উপরে। বিশ্বের মোট মৃত্যুর অর্ধেকের বেশি আমেরিকা, ব্রাজিল, ভারত ও মেক্সিকোয়। কিন্তু মৃত্যুহার দেখলে আমেরিকার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে ইউরোপ। প্রতি দশ লক্ষে আমেরিকায় মারা গিয়েছেন ৬৩২ জন। ব্রিটেনে ৬১৮। ইটালিতে ৫৯৩ জন। ফ্রান্সে ৪৮৬। স্পেনে ৬৬৮। ভারতে সেখানে ৬৯ জন।

Advertisement

নতুন করে লকডাউন জারি করেছে স্পেনও। ব্রিটেন লকডাউনের সঙ্গে বেশ কিছু নিয়ম করেছে। যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এক জায়গায় ছ’জনের বেশি জড়ো হওয়া যাবে না। এ নিয়ে গত দু’সপ্তাহে প্রবল বিক্ষোভ হয়েছে লন্ডনে। ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি পটেল বলেন, ‘‘মানুষের প্রাণ বাঁচাতেই এ ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সবার নিজের কর্তব্য পালন করা উচিত। পজ়িটিভ ধরা পড়লে বা কোনও সংক্রমিতের সংস্পর্শে এলে অবশ্যই কোয়রান্টিনে থাকুন।’’ না-মানলে মোটা অঙ্কের জরিমানা, ন্যূনতম ১ হাজার পাউন্ড। অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী বেড়ে তা ১০ হাজার পাউন্ডও হতে পারে। যেমন, কেউ যদি এই অপরাধ দ্বিতীয় বার করেন, কিংবা অন্যের আইসোলেশনে থাকা আটকান। কোনও সংস্থা যদি তার কোয়রান্টিনে থাকা কর্মীকে জোর করে অফিসে আনে, শাস্তি হবে তারও। কোনও ব্যক্তি যদি আর্থিক ভাবে দুর্বল হন, কোয়রান্টিনে থাকলে যদি তাঁর রোজগার বন্ধ হয়ে যায়, ওই ১৪ দিনের জন্য তাঁকে ৫০০ পাউন্ড অর্থসাহায্য দেবে সরকার। এ ধরনের নিয়মের পিছনে অন্যতম কারণ, একটি সরকারি সমীক্ষার রিপোর্ট। তাতে দেখা গিয়েছে— সংক্রমণ বৃদ্ধি সত্ত্বেও, উপসর্গ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষ আইসোলেশনে থাকছেন। ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানককও বলেন, ‘‘যা করা হচ্ছে, সে সবই আমাদের আইনি কর্তব্য।’’

আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশে এক সময়ে লকডাউন মানা হয়নি যথাযথ ভাবে। অফিস-দোকানপাট খুলে দেওয়া হয়েছিল আগেভাগে। ব্যাপক সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য ট্রাম্প-প্রশাসনের এই ‘দায়িত্বজ্ঞানহীনতাকে’ কাঠগড়ায় তুলেছে অনেকেই। এ বার অফিস থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর অভিযোগে মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করলেন এক কর্মীর মেয়ে। ইলিনয়ের বাসিন্দা এসপের্যানজ়া উগাল্ডের মেয়ে মামলা করেন, তাঁর বাবা অফিসে গিয়ে সংক্রমিত হন। তাঁর থেকে মা করোনা-আক্রান্ত হন এবং মারা যান। ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন মেয়েটি। একটি ‘রিস্ক অ্যানালিসিস’ সংস্থার সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, এ ধরনের মামলার জেরে আমেরিকার একাধিক সংস্থাকে কোটি কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হতে পারে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন