ভারতীয় কনসাল জেনারেল শশাঙ্ক বিক্রম। ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে ভারতীয় কনসাল জেনারেলের বাড়িতে ডাকাতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু করল দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার। সেইসঙ্গে কনসালের বাড়ির নিরাপত্তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে দিল্লি। কনসাল শশাঙ্ক বিক্রমের সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।
গত বৃহস্পতিবার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকায় দাসশ্রমিক হিসেবে ভারতীয়দের পা রাখার ১৭৫তম বার্ষিকী। সে দিন ডারবানে কনসালের ঐতিহাসিক বাসভবন ‘ইন্ডিয়া হাউস’-এ হামলা চালায় আট দুষ্কৃতী। তখন বাড়িতে ছিলেন কনসাল শশাঙ্ক বিক্রমের স্ত্রী মেঘা ও তাঁদের দুই ছেলে। এক রক্ষীকে কাবু করে অস্ত্র ছিনিয়ে বাড়িতে ঢুকে প়ড়ে তারা। শশাঙ্ক ও মেঘার পাঁচ বছরের ছোট ছেলে নীচের ঘরে পড়ছিল। তাকে বন্দুক দেখিয়ে উপরে নিয়ে আসে দুষ্কৃতীরা। পরিচারিকা অ্যালার্ম বাজালেও সময়ে পুলিশ আসেনি বলেই অভিযোগ। বড় ছেলেকে নিয়ে কোনওক্রমে একটি ঘরে আশ্রয় নেন মেঘা। দুষ্কৃতীরা লোহার ক্রো-বার দিয়ে দু’টি দরজা ভেঙে ফেলে। শেষ পর্যন্ত রান্নাঘরের দরজা দিয়ে পালায় তারা। স্ত্রী-র ফোন পেয়ে একটি বৈঠক ছেড়ে দ্রুত বাড়ি ফেরেন বিক্রম। তিনি পুলিশের আগেই পৌঁছন বলে জানিয়েছেন কনসাল। দুষ্কৃতীরা সেলফোন ও অন্য জিনিস নিয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন মেঘা।
‘ইন্ডিয়া হাউস’-এর নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা। এমন এক কূটনৈতিক ভবনে কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে তদন্ত করছে বিদেশ মন্ত্রক। আজ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভিশ কুমার জানান, কূটনীতিকদের নিরাপত্তা ভারতের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ আফ্রিকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে দিল্লি। বিদেশমন্ত্রী কনসালের সঙ্গে কথা বলে তাঁর পরিবার কেমন আছে, তা জানতে চেয়েছেন। তবে ঘটনাটি যে কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে, তা মানছেন বিদেশ মন্ত্রকের কর্তারা। ডারবানের ‘ইন্ডিয়া হাউস’-এ নিরাপত্তা দেয় দু’টি সংস্থা। একটির কর্ণধার লী অ্যান ওয়েস্টন জানান, ‘‘আমরা কেবল ভবন পাহারা দিই। এমন হামলার ক্ষেত্রে দ্রুত পাল্টা ব্যবস্থার দায়িত্ব রয়েছে অন্য সংস্থার উপরে।’’ তারা মুখ খোলেনি।