ফাইল ছবি। এ এফ পি।
ইরানের ছাবাহার বন্দরে প্রস্তাবিত বিনিয়োগ না করায় ভারতকে হুঁশিয়ারি দিল তেহরান। পাশাপাশি, ইরান থেকে তেল আমদানি কমালে ভারত সে দেশ থেকে যে আর্থিক সুবিধে পেয়ে থাকে, তা-ও বন্ধ করে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার একটি আলোচনাসভায় এই কথা জানালেন, ভারতে নিযুক্ত ইরানের উপ-রাষ্ট্রদূত মাসুদ রেজভানিয়ান রাহাঘি।
ইরানের ছাবাহার বন্দর ভারতের জন্য কৌশলগত ভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানের সঙ্গে খারাপ কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি, সেই দেশের অভ্যন্তরীন টালমাটাল পরিস্থিতির জন্য করাচি-সহ পাক বন্দরগুলি ভারতের জন্য আর নিরাপদ নয়। অথচ, আফগানিস্তান, মধ্য এশিয়া, পারস্য উপসাগরে ভারতের পণ্য নিয়ে যাওয়া বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য একটি জরুরী বিষয়। সেই কারণেই ২০১৬ সালে ভারত-ইরান-আফগানিস্তান মিলে সমুদ্রবন্দর হিসেবে ছাবাহারকে ব্যবহার করার চুক্তি স্বাক্ষর করে। পাশাপাশি, রাখা হয়েছিল যাত্রী পরিবহণের বিষয়টিও। কিন্তু আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে প্রস্তাবিত বিনিয়োগ করছে না ভারত, এমনটাই দাবি ইরানি উপ রাষ্ট্রদূতের।
ইরানের সঙ্গে সমস্ত বাণিজ্য-সম্পর্ক বন্ধ করতে আমেরিকা চাপ বাড়াচ্ছে সব মহলেই। ৪ নভেম্বরের মধ্যে ইরানের থেকে তেল আমদানি বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি ইরানের বন্দরগুলিতেও পণ্য পরিবহণ করা যাবে না। নয়াদিল্লিকে ইতিমধ্যেই এই হুঁশিয়ারি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। না মানলে ভারতকে শাস্তির সম্মুখীন হতে পারে। তা নিয়েও সরব হয়েছে ইরান। ভারত এই মুহূর্তে ইরান থেকে যে পরিমান তেল আমদানি করে, তার দশ শতাংশ কমানোও তেহরানের পক্ষে মেনে নেওয়া অসম্ভব। সেক্ষেত্রে তেলের দামে ভারত যে বিশেষ সুবিধে পেয়ে থাকে, তা সরিয়ে নেওয়া হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানি উপ-রাষ্ট্রদূত মাসুদ।
মধ্য এশিয়ায় প্রবেশপথ হিসেবে ছাবাহার বন্দর ব্যবহারের পরিকল্পনা ভারতের
ভারতের জন্য এই মুহূর্তে ইরান তৃতীয় বৃহত্তম তেল সরবরাহকারী দেশ। ইরাক ও সৌদি আরবের পরেই। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পশ্চিম এশিয়া ও পারস্য উপসাগর অঞ্চলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে ভারতের কূটনৈতিক অবস্থান।
আরও পড়ুন: নীরব মুন, নিরাপত্তার প্রশ্ন মোদীই তুললেন