Terrorism

গুরুদ্বারে আইএস হানা, ২৫ হত কাবুলে

এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে ভারত। গত কয়েক মাস ধরে সিএএ বিতর্কে সরকার পক্ষের বক্তব্যে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের বিষয়টি বারবার উঠে এসেছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২০ ০৪:৩৭
Share:

বুধবারের জঙ্গি হামলায় তছনছ কাবুলের গুরুদ্বার। ছবি: এপি

বিশ্বজোড়া করোনা-আতঙ্কের মধ্যেই ফের জঙ্গি হামলা আফগানিস্তানে। সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ প্রার্থনা চলাকালীন কাবুলের ওল্ড সিটি এলাকার শোরবাজারের একটি গুরুদ্বারে ঢুকে লাগাতার বোমাবাজি শুরু করে চার জঙ্গি। প্রায় দেড়শো পুণ্যার্থীকে তারা পণবন্দি করে রেখেছে জেনেই ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী। জঙ্গিদের সঙ্গে প্রায় ছ’ঘণ্টা গুলির লড়াই শেষে বাহিনী দাবি করে, গুরুদ্বার দখলমুক্ত। চার জঙ্গিই নিহত। তার অনেক আগে অবশ্য জঙ্গিদের গুলি-বোমায় প্রাণ গিয়েছে এক শিশু-সহ ২৫ শিখ পুণ্যার্থীর। আহত অন্তত ৮। দুপুরে ধরমশালা নামের ওই গুরুদ্বার থেকে ৮০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে অন্তত ১১ জন শিশু।

Advertisement

এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে ভারত। গত কয়েক মাস ধরে সিএএ বিতর্কে সরকার পক্ষের বক্তব্যে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের বিষয়টি বারবার উঠে এসেছে। আজ ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী টুইট করে বলেন, “এই ধরনের হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর থেকেই স্পষ্ট যে, কিছু দেশে সংখ্যালঘুদের উপর কী ভাবে অত্যাচার চলছে। তাঁদের জীবন, ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তা খুবই জরুরি।” পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ বলেন, “হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার জন্য আফগান প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ জানাচ্ছি।”

কাবুলের বহু প্রাচীন এই শিখ ধর্মস্থানে হামলার পিছনে গোড়ায় তালিবানের বিরুদ্ধেই আঙুল উঠেছিল। পরে অবশ্য দলীয় মুখপত্রে হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস জঙ্গি গোষ্ঠী।

Advertisement

আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। প্রয়োজনে কাবুল থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। এতে আদতে জঙ্গিদেরই সুবিধে করে দেওয়া হচ্ছে কি না, প্রশ্ন ছিল অনেকের। এ দিনের হামলায় সেই প্রশ্নই উঠল ফের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন