যৌন মিলনে নারাজ, ১৯ জন মহিলাকে পুড়িয়ে মারল আইএস

ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অত্যাচারের তালিকায় আরও একটি সংযোজন। এ বার জঙ্গিদের সঙ্গে যৌন মিলনে রাজি না হওয়ায় ১৯ জন সংখ্যালঘু ইয়াজিদি মহিলাকে পুড়িয়ে মারল আইএস। ঘটনাস্থল উত্তর ইরাকের মসুল শহর। প্রায় দু’বছর ধরে এ শহর আইএসের দখলে রয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৬ ১৮:৪৭
Share:

ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অত্যাচারের তালিকায় আরও একটি সংযোজন। এ বার জঙ্গিদের সঙ্গে যৌন মিলনে রাজি না হওয়ায় ১৯ জন সংখ্যালঘু ইয়াজিদি মহিলাকে পুড়িয়ে মারল আইএস। ঘটনাস্থল উত্তর ইরাকের মসুল শহর। প্রায় দু’বছর ধরে এ শহর আইএসের দখলে রয়েছে।

Advertisement

আইএসের কৃতকর্মের তালিকায় মহিলাদের উপরে অত্যাচার নতুন নয়। যে জিহাদি দর্শনে আইএস বিশ্বাস করে সেখানে মহিলাদের অধিকার নেই বললেই চলে। ফলে আইএসের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় মহিলাদের কার্যত গৃহবন্দি অবস্থা। আর সেই মহিলারা শিয়া বা অন্য কোনও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হলে তো কথাই নেই। ধর্ষণ থেকে যৌন ক্রীতদাসী— সবই আইএসের চোখে বৈধ। ইরাকের যে অঞ্চলগুলি আইএসের নিয়ন্ত্রণে এসেছে সেখানেই এই নিয়ম চালু করেছে আইএস। শিয়া, ইয়াজিদি, কুর্দ মহিলাদের বন্দি করে এই কাজেই লাগিয়েছে। প্রধানত জেহাদিদের যৌন লালসা মেটাতেই তাঁদের ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকী, চাহিদা মিটে গেলে প্রকাশ্যে তাঁদের বিক্রিও করা হয়েছে। আর কথা মতো কাজ করতে অস্বীকার করলে মৃত্যুদণ্ডও জুটেছে। প্রকাশ্যে ‘অবাধ্য’ মহিলাদের হত্যা করা হয়েছে। এ বার সেই তালিকায় উঠল ১৯ ইয়াজিদি মহিলার নাম।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন, এই ১৯ জন মহিলা আইএসের কথা যৌনকর্ম অংশ নিতে অস্বীকার করেন। তার পরে তাঁদের লোহার খাঁচার মধ্যে আটকে ফেলা হয়। এর পরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুরো ঘটনাটিই প্রকাশ্যে ঘটে। তবে, ইয়াজিদি মহিলাদের উপরে আইএসের অত্যাচার নতুন নয়। ইরাকের শিনজার অঞ্চল আইএসের নিয়ন্ত্রণে আসার পরে অসংখ্য মহিলাকে বন্দি করে আইএস। এঁদের অনেকেই মসুলে নিয়ে আসে আইএস। তার পরে শুরু হয় অত্যাচার। বিশেষ করে তরুণীরাই ছিল আইএস জঙ্গিদের যৌন লালসার মূল লক্ষ্য।

Advertisement

ইরাকে ক্রমেই ক্ষমতা হারাচ্ছে আইএস। ফালুজায় ইরাকি স্পেশ্যাল ফোর্স ঢুকে পড়েছে। ইরাকি সরকারের সূত্রে খবর, কয়েক দিনের মধ্যে ফালুজা পুরোপুরি সেনার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। কিন্তু, যুদ্ধবিধ্বস্ত ফালুজা থেকে সাধারণ নাগরিকদের বের করে আনাই বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, ফালুজা থেকে বেরোতে চাইলেই নাগরিকদের হত্যা করছে আইএস। ফালুজার পতন হলে আইএসের হাতে রয়ে যাবে শুধু মসুল। অচিরেই মসুল দখলের অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছে ইরাকি সেনা। কিন্তু, এখনও মসুলে আইএসের নিয়ন্ত্রণে অসংখ্য সাধারণ নাগরিক বাস করেন। রয়েছেন বন্দি মহিলারাও। এ দিনের ঘটনার প্রেক্ষিতে মসুল অভিযান শুরু হলে সাধারণ নাগরিক ও বন্দি মহিলাদের কী হবে তা নিয়ে শঙ্কিত নানা মহল।

আরও পড়ুন

ইরাক-সিরিয়া যেতে তৈরি পাঁচশো তরুণ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন