বাস্তবের মত্স্যকন্যা। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
মত্স্যকন্যা কোথায় থাকে? সহজ উত্তর। রূপকথার গল্পে। কিন্তু বাস্তবেও যদি খোঁজ মেলে তার?
মারমেড মালিসিয়া। বাস্তবের মত্স্যকন্যা। ৩৩ বছরের এই ফ্লোরিডা কন্যে আর পাঁচ জন সাধারণের মত নন। পাঁচ মিনিট জলের তলায় শ্বাস আটকে ডুবে থাকতে পারেন তিনি। এই মত্স্যকন্যার পারফরমেন্সের মাধ্যমেই সাধারণ মানুষের কাছে সমুদ্র সম্পর্কে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে চান তিনি।
চকচকে মাছের লেজের মতো পোশাকে পরিপূর্ণ তাঁর সংগ্রহ। মালিসিয়া জানিয়েছেন, “অন্য মেয়েরা যেভাবে জামাকাপড়, গয়না বা জুতো কেনে আমি সেভাবেই এই ধরনের পোশাক সংগ্রহ করি।” সামুদ্রিক কোরাল, মাছ সহ অন্যান্য প্রাণীদের বাঁচাতে বিভিন্ন সেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনি। ফেসবুকে চার লক্ষ ৮০ হাজার ফলোয়ারের সংখ্যা বুঝিয়ে দেয় বিশ্ব জুড়ে তাঁর জনপ্রিয়তা।
সোমবার বিশ্ব সমুদ্র দিবস সেলিব্রেট করতে মত্সকন্যার পোশাক পরে সমুদ্রে নেমেছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি মত্সকন্যা কেন? মালিসিয়ার কথায়, “আসলে মানুষ আর সামুদ্রিক প্রাণীদের মধ্যে আমি সেতুর কাজ করি। সামুদ্রিক প্রাণীদের হয়ে কথা বলতে চাই আমি।”
ছোটবেলা থেকেই সাঁতার প্রিয় ছিল মেয়েটির। বড় হয়ে তাকেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, যেভাবে নির্বিচারে প্রতিদিন সামুদ্রিক সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে তাতে দ্রুত ধ্বংসের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী।
তবে তাঁর সচেতনতার বার্তা পৌঁছল কি সমাজের কাছে? মালিসিয়ার হাত ধরে সত্যিই সে জগতে পৌঁছলাম আমরা? সমুদ্র সম্পর্কে সচেতন হলাম কি?