ইরান-ইজ়রায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতি। ছবি: রয়টার্স।
ইরানের সাধারণ নাগরিকদের হুমকি দিয়েও সুরবদল করল ইজ়রায়েল! সংঘর্ষের আবহে সোমবার ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজ়রায়েল কাট্জ় হুঁশিয়ারি দেন, তেহরানের বাসিন্দাদের খুব দ্রুতই মূল্য চোকাতে হবে। ওই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরেই নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যাও দিলেন তিনি। কাটজ়ের দাবি, তেহরানবাসীর ক্ষতি করার কোনও অভিপ্রায় নেই ইজ়রায়েলের। বরং ইরানের ‘একনায়কতন্ত্রের’ মাসুল গুণতে হবে তেহরানবাসীকে।
গত শুক্রবার ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে ইজ়রায়েল হামলার চালানোর পর থেকে দু’দেশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। দু’দেশই একে অন্যের উপর হামলা চালাচ্ছে। ইজ়রায়েলের বেশ কয়েক জন সাধারণ নাগরিকেরও মৃত্যু হয়েছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হানায়। ইরানের ওই হামলার প্রসঙ্গেই কাট্জ় দাবি করেন, তেহরানবাসীকে এর মূল্য চোকাতে হবে। যদিও পরে সমাজমাধ্যমে তিনি নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যাও দেন। তিনি লেখেন, “যেটি স্পষ্ট হওয়ার প্রয়োজন, তা আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই। (ইরানের) খুনি স্বৈরশাসক ইজ়রায়েলের নাগরিকদের সঙ্গে যা করেছে, তেহরানবাসীর বিরুদ্ধে তেমন কোনও ক্ষতি করার অভিপ্রায় আমাদের নেই।”
নিজের আগের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে কাট্জ় দাবি করেন, তেহরানের সাধারণ বাসিন্দাদের ‘স্বৈরশাসনের মূল্য’ দিতে হবে। তেহরানে সরকারি এবং সামরিক বিভিন্ন নিশানায় যখন আঘাত হানার প্রয়োজন হবে, তখন তাঁদের (তেহরানবাসীকে) নিজেদের ঘরবাড়ি খালি করে দিতে হবে।
বস্তুত তেহরান ইতিমধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে ইজ়রায়েলের হামলার প্রত্যাঘাত সম্পূর্ণ না-হওয়া পর্যন্ত থামবে না ইরান। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, দুই মধ্যস্থতাকারী দেশ ওমান এবং কাতারকে এমনটাই জানিয়েছে তারা। পাশাপাশি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি (এনপিটি) থেকে বেরিয়ে আসারও প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। সোমবার এমনটাই দাবি করেছেন ইরানের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ইসমাইল বঘাই। তবে তাঁর দাবি, ধ্বংসের জন্য অস্ত্র বানানোর বিরোধিতা করে যাবে ইরান।