Chandrayaan 2

ভারতের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত, চন্দ্রযান ২ অভিযান নিয়ে উচ্ছ্বসিত পাকিস্তানিরাও

২২ জুলাই উৎকণ্ঠার প্রহর পেরিয়ে যেতেই হাসি চওড়া হয়েছে ইসরোর মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মুখে। এর আগে, মঙ্গলের পাড়ায় যান পাঠিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের নজর কেড়ে নিয়েছিল ভারত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৯ ১১:২৩
Share:

চাঁদে অভিযান ইসরোর। ছবি: এপি

২২ জুলাই চাঁদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে চন্দ্রযান-২। কম খরচে চাঁদের মাটি ছোঁয়ার পরিকল্পনা ছিল ইসরোর। সেই পরিকল্পনার প্রথম ধাপ ভাল ভাবেই উতরে গিয়েছে তারা। একই সঙ্গে, ইসরোর এই সাফল্য আদায় করে নিয়েছে গোটা দুনিয়ার কুর্নিশ। কূটনৈতিক টানাপড়েন থাকলেও, মহাকাশ গবেষণায় ভারতের এমন রকেট গতিতে উত্থান নিয়ে উচ্ছ্বসিত পাকিস্তানও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসরো-বন্দনায় মত্ত সে দেশের নাগরিকরা। তাঁরা বলছেন, ‘‘প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে ভারত। তাদের থেকে শিখতে হবে পাকিস্তানকে।’’ কেউ আবার পাক প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হয়ে ওঠার আর্জিও জানিয়েছেন।

Advertisement

২২ জুলাই উৎকণ্ঠার প্রহর পেরিয়ে যেতেই হাসি চওড়া হয়েছে ইসরোর মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মুখে। এর আগে, মঙ্গলের পাড়ায় যান পাঠিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের নজর কেড়ে নিয়েছিল ভারত। চন্দ্রযান-২-এর ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ইসরোর সাফল্য দেখে একই সুর পাক নাগরিকদেরও। লাহৌরের ইউটিউবার সানা আমজাদের মতে, ‘‘দারুণ পদক্ষেপ করেছে ইসরো। প্রযুক্তিগত ভাবে ভারত আমাদের থেকে অনেক কদম এগিয়ে রয়েছে। ওদের দেখে পাকিস্তানের শেখা উচিত।’’ সানা আমজাদের সুরে সুর মিলিয়েছেন অনেকে পাক নাগরিকই। কেউ বলছেন, ‘‘আমরা ইসরোর কাজের প্রশংসা করি। সেই সঙ্গে, আমাদের কী করা উচিত সে সিদ্ধান্তও নিতে হবে।’’ কেউ আবার কিছুটা আশঙ্কার সুরেই বলছেন, ‘‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ভারতের এই উন্নতির ফলে পাকিস্তান একটি বিপজ্জনক প্রতিবেশীকে পাবে। পাকিস্তানেরও উচিত যুব সম্প্রদায়, প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা।”

Advertisement

চন্দ্রযান-২-এর সফল উৎক্ষেপণের পরই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনে ভেসে যেতে শুরু করেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ইজরায়েলের মতো উন্নত দেশগুলি ভারতের এই অভিযানকে ‘বিরাট উল্লম্ফন’ বলেই ব্যাখ্যা করেছে। একই সঙ্গে এই অভিযানের পূর্ণ সাফল্যও কামনা করেছে তারা। ইসরোর অভিযানের দিকে নজর ছিল ইসলামাবাদেরও।

আরও পড়ুন: ব্রিটেন থেকে দূষিত বর্জ্য ভারত, দুবাইয়ে

চিনের সাহায্যে ভারতের থেকে কিছুটা আগেই মহাকাশ গবেষণা শুরু করেছিল পাকিস্তান। তৈরি হয়েছিল স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন বা এসইউপিএআরসিও। কিন্তু, বেশ কয়েক দশক পেরোলেও এখনও তেমন ভাবে এগোতে পারেনি ইসলামাবাদ। কিছুটা পিছিয়ে থেকে শুরু করলেও এখন আন্তর্জাতিক মহলের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে ইসরো। পাকিস্তানকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে অনেকটা।

আরও পড়ুন: গরমে পুড়ছে মেরুপ্রদেশ, গলছে হিমবাহ​

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন