ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদ করতে পাকিস্তানে প্রকাশ্যে টাকা তুলছে জইশ

ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদ। কাশ্মীরের দখল নিতে হবে। ভারতীয় সেনার হাত থেকে কাশ্মীরকে মুক্ত করতে হবে। তাই মুক্ত হস্তে দান করুন। এমনই আহ্বান জইশ-ই-মহম্মদের। পাকিস্তানে এই ভাবেই অর্থ সংগ্রহ করছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনটি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৬ ২০:৪৫
Share:

জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহার।

ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদ। কাশ্মীরের দখল নিতে হবে। ভারতীয় সেনার হাত থেকে কাশ্মীরকে মুক্ত করতে হবে। তাই মুক্ত হস্তে দান করুন।

Advertisement

এমনই আহ্বান জইশ-ই-মহম্মদের। পাকিস্তানে এই ভাবেই অর্থ সংগ্রহ করছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনটি। রাষ্ট্রপুঞ্জ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে জইশকে। পাকিস্তানও সরকারি ভাবে ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে যে জইশ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এবং তা নিষিদ্ধ। কিন্তু তা যে নামমাত্র, করাচির ঘটনায় তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে আরও এক বার।

করাচির ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান জামিয়া উলুম-এ-ইসলাম এর বাইরে এই তহবিল সংগ্রহ করতে দেখা গিয়েছে জইশ-ই-মহম্মদকে। ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদ সফল করতে মুক্ত হস্তে দান করার আহ্বান জানাচ্ছে জইশ। রাস্তায় চাদর ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে জঙ্গি সংগঠনটির কর্মীরা। জামিয়া উলুম-এ-ইসলামের মসজিদ থেকে যাঁরাই বেরোচ্ছেন, তাঁদেরই বলা হচ্ছে ওই চাদরে কিছু টাকাপয়সা দিয়ে যেতে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘কুমারী, সুন্দরী, বয়স ১২, দাম...’ হোয়াটসঅ্যাপে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে আইএস!

একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমই এই ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং করেছে। জামিয়া উলুম-এ-ইসলাম তীব্র কট্টরবাদী প্রতিষ্ঠান। বহু কুখ্যাত জঙ্গির জন্ম দিয়েছে করাচির ওই প্রতিষ্ঠানটি। জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারও জামিয়া উলুম-এ-ইসলামেই কট্টরপন্থায় হাত পাকিয়েছেন। সেখানকার মসজিদের বাইরে জইশ রোজ অর্থ সংগ্রহ অভিযান চালাচ্ছে বলে খবর এসেছিল। সেই খবরের ভিত্তিতেই গোপনে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি। সকাল হোক বা রাত, সর্বক্ষণই অর্থ সংগ্রহ চলতে দেখা গিয়েছে। যারা অর্থ সংগ্রহ করছে, তারা প্রকাশ্যেই বলছে, ‘‘জইশ-ই-মহম্মদের মুজাহিদদের সাহায্য করুন, ইসলামের মুজাহিদদের সাহায্য করুন, কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে এবং আফগানিস্তানে মার্কিনদের বিরুদ্ধে জেহাদে অংশ নিন।’’ যেখানে এই অর্থ সংগ্রহ চলছে, ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদের ডাক দেওয়া হচ্ছে, সেখানে পুলিশ কর্মীদের উপস্থিতিও রয়েছে। কিন্তু জইশের হয়ে যে অর্থ সংগ্রহ চলছে, তাতে পাক পুলিশকে কোনও ভাবেই বাধা দিতে দেখা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement