সাংবাদিক জামাল খাশোগি।—ছবি এপি
ফের নতুন ‘গল্প’ সৌদি আরবের মুখে।
সৌদির সরকারি আইনজীবী আজ দাবি করলেন, সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে খুন ‘পূর্বপরিকল্পিত’ ছিল। যদিও আগে বলা হয়েছিল, ‘দুর্ঘটনাবশত’ খুন হয়ে গিয়েছে।
সৌদি আরবের সরকারি টিভি চ্যানেলে এ দিন ‘নতুন’ বিবৃতিটি পড়ে আইনজীবী জানান, সৌদি-তুরস্কের যৌথ তদন্তে বেশ কিছু নতুন তথ্য উঠে এসেছে, যা থেকে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তাঁরা। যদিও কারা চক্রান্ত করেছিল, কেন করেছিল, কিছুই জানানো হয়নি। বরং নতুন করে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে, সে দিন ঠিক কী ঘটেছিল তা নিয়ে। গত কালই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘এত বাজে ভাবে ধামাচাপা দেওয়ার ঘটনা আগে কখনও দেখিনি!’’ সৌদির আজকের বক্তব্য তেমনই কোনও চেষ্টা কি না, প্রশ্ন উঠছে সে নিয়েও।
তুরস্ক কিন্তু এখনও নিজেদের বক্তব্য স্থির। তাদের দাবি, খাশোগি ইস্তানবুলের সৌদি কনসুলেটে ঢোকার কিছু ক্ষণ পরেই তাঁকে খুন করেছিল ১৫ জনের একটি দল। ইতিমধ্যেই ওই দলের প্রত্যেকের নাম প্রকাশ করেছে তুরস্ক। তাদের বিমানবন্দরে পৌঁছনো, ইস্তানবুলের রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর ছবিও প্রকাশ করেছে তারা। এমনকি খাশোগি যে জীবিত রয়েছেন, তা প্রমাণ করতে সাংবাদিককে খুনের কিছু ক্ষণ পরেই তাঁর পোশাক পরে ইস্তানবুলের রাস্তায় ঘুরে বেরিয়েছিলেন এক ‘বডি ডাবল’। নজরদারি ক্যামেরায় ধরা পড়া তাঁর ছবিও ফাঁস করে দিয়েছে তুরস্ক। আজ সিআইএ ডিরেক্টর জিনা হ্যাসপেল সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তুরস্কের হাতে থাকা খাশোগি খুনের অডিয়ো রেকর্ডিং তিনি শুনেছেন।
এ সপ্তাহের গোড়ায় তুরস্ক সফরে গিয়েছিলেন হ্যাসপেল। তখনই তাঁকে শোনানো হয়েছে ওই রেকর্ডিং। ২ অক্টোবর তুরস্কের সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল, তাদের হাতে খুনের ঘটনার অডিয়ো রেকর্ডিং আছে। হ্যাসপেল সোমবার তুরস্কে পৌঁছন। বুধবার সে দেশের একটি দৈনিকে লেখা হয়, হ্যাসপেলকে ওই রেকর্ডিং শোনানো হয়েছে। আজ দু’টি মার্কিন দৈনিকেও ওই খবরের সত্যতাকে সমর্থন জানানো হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রথম সারির মার্কিন দৈনিকে দাবি করা হয়েছে, ওই ‘অডিয়ো রেকর্ডিং’-এ উপস্থিত একটি কণ্ঠস্বর তাদের জানিয়েছে, অডিয়ো রেকর্ডিংটির জোরেই সৌদি আরবকে কাঠগড়ায় তুলতে পারবে আমেরিকা।