John le carre

ঠান্ডা যুদ্ধ চেনানো ঔপন্যাসিক জন লে কারে প্রয়াত

‘দ্য স্পাই হু কেম ইন ফ্রম দ্য কোল্ড’-এর রচয়িতা ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক জন লে কারে প্রয়াত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ ১০:৩২
Share:

ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক জন লে কারে প্রয়াত।

‘দ্য স্পাই হু কেম ইন ফ্রম দ্য কোল্ড’-এর রচয়িতা ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক জন লে কারে প্রয়াত। অনেকেই মনে করেন, গুপ্তচর সংক্রান্ত থ্রিলারের অন্যতম সেরা রূপকার তিনি। সাহিত্যের এই ধারাটিকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

দিন কয়েক অসুস্থতার পর শনিবার রাতে প্রয়াত হন জন। রবিবার তাঁর মৃত্যুর খবর জানিয়েছে এক প্রকাশক সংস্থা। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৮৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ঠান্ডা যুদ্ধ সংক্রান্ত থ্রিলারকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেওয়া এই ঔপন্যাসিক।

প্রকৃত নাম ডেভিড কর্নওয়েল। সুইৎজারল্যান্ডের বার্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ইটন কলেজে দু’বছর শিক্ষকতা করার পর ব্রিটিশ গুপ্তচর বিভাগে চাকরি। জার্মানির বন-এ ব্রিটিশ দূতাবাসে পোস্টিং হয়। গুপ্তচর রেকর্ড বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সে সময়ই তাঁর হাতে আসে এমন কিছু ফাইল, যা থেকে তিনি ‘সেক্রেট সার্ভিস’-এর অনেক তথ্য পান। বুঝতে পারেন একাধিক দেশের গুপ্তচর সংস্থা কী ভাবে কাজ করে। সাদা চোখে বা সংবাদমাধ্যমে যা ধরা পড়ে তার বাইরে যে এক পৃথক বিশ্ব রয়েছে গুপ্তচরদের, তা তাঁর কাছে ক্রমে স্পষ্ট হতে থাকে। এর পরই তিনি গুপ্তচরদের নিয়ে থ্রিলার লেখা শুরু করেন। কিন্তু সরকারি কর্মী হয়ে নিজের নামে তো সেই সব উপন্যাস লিখতে পারতেন না। যে কারণেই তাঁরে নিতে হল ছদ্মনাম— জন লে কারে। অতঃপর, বিশ্বজুড়ে তাঁকে পরবর্তী প্রজন্ম এই নামেই চিনল।

Advertisement

ঠান্ডা যুদ্ধের সময়ে গুপ্তচরবৃত্তির যে সব বর্ণনা জনের লেখায় উঠে এসেছিল, তা এক কথায় অনবদ্য। তাঁর দীর্ঘদিনের এজেন্ট জনি গিলার বলেছেন, ‘‘ইংরেজি সাহিত্যের একজন মহিরুহ তিনি। ঠান্ডা লড়াইয়ের যুগকে তিনি লেখার মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত করেছেন। পরবর্তী দশকগুলিতেও ক্ষমতার সামনে চোখ রেখে সত্যি কথা বলেছেন। আমি আমার বন্ধু, অনুপ্রেরণাকারী এবং মেন্টরকে হারালাম।’’ ঠান্ডা লড়াই চলাকালীন সাবেক সোভিয়েত রাশিয়ার গুপ্তচর সংস্থা এবং ব্রিটিশ গুপ্তচর সংস্থার এজেন্টরা কী ভাবে কাজ করতেন, তার দিশা মেলে জনের রুদ্ধশ্বাস সব থ্রিলারে।

‘দ্য স্পাই হু কেম ইন ফ্রম দ্য কোল্ড’ ছিল ১৯৬৩ সালের সর্বাধিক বিক্রিত উপন্যাস। এই উপন্যাস নিয়ে ব্রিটিশ সাংবাদিক এবং সমালোচক গ্রাহাম গ্রিন বলেছেন, ‘‘আমার পড়া চরবৃত্তির সর্বোৎকৃষ্ট গল্প।’’ শোনা যায়, এই উপন্যাস পড়েই ইয়ান ফ্লেমিং জেমস বন্ড চরিত্রের সৃষ্টি করেছিলেন। এ ছাড়া ‘টিঙ্কার টেলর সোলজার স্পাই’, ‘আ মোস্ট ওয়ান্টেড ম্যান’— জনের অনবদ্য সৃষ্টিগুলির মধ্যে অন্যতম। এর মধ্যে এই ব্রিটিশ লেখকের উপন্যাস থেকে ১০টিরও বেশি সিনেমা তৈরি হয়েছে বিভিন্ন সময়ে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন