আর চুপ করে থাকা নয়। শনিবার দুপুরে কাবুলের বিধ্বংসী বিস্ফোরণের পরে তালিবান দমনে হেস্তনেস্ত করার ইঙ্গিত দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর ট্রাম্পের এই ইঙ্গিতই রক্তচাপ বাড়িয়ে দিল পাকিস্তানের।
কাবুল বাজারে শনিবারের বিস্ফোরণের দায় তালিবান স্বীকার করায় চাপ বেড়েছে আমেরিকার। কারণ, এক সপ্তাহের মধ্যে পরপর দু’টি বড় বিস্ফোরণ প্রমাণ করেছে, আমেরিকার দীর্ঘ সেনা অভিযানে কিছুটা শক্তিক্ষয় হলেও তালিবান ফের সংগঠিত হচ্ছে। পাশাপাশি, একাধিক সংগঠন তালিবানকে শান্তির পথে আনার জন্য যে চেষ্টা চালিয়েছে, তাতে যে আদৌ কোনও লাভ হয়নি, তা-ও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় বিভিন্ন দেশ শনিবারের হামলার নিন্দা করলেও চড়া সুরে হুমকি দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘তালিবান এবং জঙ্গি পরিকাঠামোকে সাহায্যকারীদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অভিযানে নামা উচিত সব দেশের।’’
আফগানিস্তান সরকার দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করছে, পাকিস্তানের নিরাপদ আশ্রয়ে থেকেই বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে তালিবান জঙ্গিদের। ইসলামাবাদ প্রতিবারই এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও তা মানতে নারাজ আমেরিকা। সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন পাকিস্তানকে সামরিক খাতে ২০০ কোটি ডলারের সাহায্য আটকে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইসলামাবাদ ক্ষোভ জানালেও এখনও পর্যন্ত সুর নরম করেনি ট্রাম্প প্রশাসন। তার উপর ট্রাম্পের এ দিনের হুমকি। এর আগে শুক্রবারও দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্মেলনের মঞ্চ থেকে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, আফগানিস্তানকে আর কখনওই জঙ্গিদের ডেরা হয়ে উঠতে দেবে না আমেরিকা। কারণ, সে ক্ষেত্রে বিপদ বাড়বে তাদেরই। ট্রাম্প যে নিজের সেই অবস্থানেই অনড় থাবেন, তা ফের স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এ দিনের বিবৃতিতে। ফলে চাপ বেড়েছে ইসামাবাদেরও।
শনিবারের বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০৩। গুরুতর আহতদের অনেকের অবস্থার অবনতি হচ্ছে বলে সরকারি সূত্রেই বলা হয়েছে। আফগান সরকারের আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে। এ দিন আফগানিস্তান জুড়ে পালিত হয়েছে জাতীয় শোকদিবস। আরও হামলার আশঙ্কায় বিভিন্ন দফতরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।