(বাঁ দিকে) লিন্ডা ইয়াক্কারিনো এবং ইলন মাস্ক (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
ইলন মাস্কের ‘এক্স’-এর মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক (সিইও)-এর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন লিন্ডা ইয়াক্কারিনো। প্রায় দু’বছর ধরে সংস্থাকে নেতৃত্ব দেওয়ার পরে বুধবার আচমকাই ‘এক্স’ ছাড়ার ঘোষণা করলেন তিনি। মাস্কের সংস্থার কৃত্রিম মেধাভিত্তিক চ্যাটবট ‘গ্রোক’ নিয়ে সম্প্রতি বার বার বিতর্ক ছড়িয়েছে। গত মঙ্গলবারও বিতর্ক ছড়ায় ‘গ্রোক’ নিয়ে। ঘটনাচক্রে ওই বিতর্কের মাঝেই ‘এক্স’ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ইয়াক্কারিনো। যদিও দু’টি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মঙ্গলবার ‘গ্রোক’ চ্যাটবট ব্যবহারকারীদের অনেকেই অভিযোগ তোলেন, বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তাঁরা ইহুদিবিদ্বেষী বক্রোক্তি পাচ্ছেন। এমনকি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তায়েপ এর্ডোগানকেও সম্প্রতি অপমান করার অভিযোগ উঠেছে ‘গ্রোক’-এর বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার জেরে ‘গ্রোক’-এর নির্দিষ্ট কিছু বিষয়বস্তুকে তুরস্কয় নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের আদালত। তবে তুরস্ক সরকার চাইছে সে দেশে ‘গ্রোক’ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দিতে। ‘এক্স’-এর কৃত্রিম মেধা নিয়ে ভারতেও কম বিতর্ক হয়নি। ব্যবহারকারীদের হিন্দিতে গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে এক্স-এর কৃত্রিম মেধা পরিচালিত চ্যাটবট ‘গ্রোক’-এর বিরুদ্ধে।
২০২৩ সালের জুন থেকে টুইটার (এক্স-এর সাবেক নাম)-এর সিইও পদে কাজ করছিলেন ইয়াক্কারিনো। সংস্থার নাম বদলের পরেও তিনিই রয়ে যান সিইও পদে। বর্তমানে মাস্ক কৃত্রিম মেধাভিত্তিক পরিষেবায় আরও বেশি নজর দিতে শুরু করেছেন। কয়েক মাস আগে ‘এক্স’কে নিজেরই অপর এক সংস্থা ‘এক্স এআই’-এর কাছে বেচে দিয়েছেন তিনি। মাস্কের মালিকানাধীন দু’টি সংস্থা আগে থেকেই একসঙ্গে কাজ করছিল। তবে ‘এক্স’-কে আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘এক্স এআই’-এর কাছে বিক্রি করে দেওয়ার ফলে নতুন সংস্থায় লিন্ডার কী ভূমিকা থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।
এই আবহেই বুধবার নিজেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে ‘এক্স’ ছাড়ার কথা জানালেন ইয়াক্কারিনো। ‘এক্স এআই’-এর যুক্ত হওয়ার পরে ‘এক্স’-এর নতুন অধ্যায়ে আরও ভাল কিছু আসবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে দু’বছরের মাথায় হঠাৎ কেন ‘এক্স’ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন, তা ওই পোস্টে স্পষ্ট নয়।