ইরান-ইজ়রায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তেল আভিভ শহর। ছবি: রয়টার্স।
ইরান- ইজ়রায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তেহরানে দূতাবাসের কাজ স্থগিত রেখে আধিকারিক ও কর্মীদের নিজের দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দিল অস্ট্রেলিয়া।
ইরাকের শিয়া মিলিশিয়া পাশে থাকার বার্তা দিল ইরানকে। তাদের বক্তব্য, ইরান- ইজ়রায়েল যুদ্ধে আমেরিকা ‘নাক গলালে’ ইজ়রায়েলে অবস্থিত আমেরিকার আঞ্চলিক ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালানো হবে।
সূত্রের খবর, ইজ়রায়েলের একটি সংবাদমাধ্যমের দফতরকে খালি করার জন্য হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ইরানের পক্ষ থেকে। দেওয়া হয়েছে হামলা করার হুমকিও। ইরানের মতে, ওই সংবাদমাধ্যম আসলে ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রীর ‘স্তুতি’ করেছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিবৃতি উল্লেখ করে জানিয়েছেন, ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকা হামলা চালাবে কি না, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি চান কূটনৈতিক আলোচনা।
ইউরেনিয়াম সংক্রান্ত চুক্তি নিয়ে কোনও আলোচনা সেই কূটনৈতিক বৈঠকে থাকা উচিৎ নয় বলে মনে করছে আমেরিকা।
ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইরানের নেতা আয়াতোল্লা খামেনেইকে নিশানা করার কথা ভুলে যাওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, এই আক্রমণ থেকে ইরানও মুক্তি পাবে না।
বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ইরানের পাশাপাশি ইজ়রায়েল থেকেও ‘অপারেশন সিন্ধু’র মাধ্যমে ভারতীয়দের দেশে ফেরানো হবে। যাঁরা দেশে ফিরতে চান, তাঁরা তেল আভিভে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। সেখান থেকেই সমস্ত বন্দোবস্ত করে দেওয়া হবে।
ইজ়রায়েল দাবি করেছিল, হাসপাতাল লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইরান। তাতে ৭১ জন জখম হয়েছেন। সেই দাবি উড়িয়ে দিল তেহরান। তাদের বক্তব্য, ইরানের উপর যেখান থেকে হামলা চালানো হচ্ছে, শুধুমাত্র সেই ঘাঁটিগুলিই ইরানের প্রত্যাঘাতের নিশানা। কোনও হাসপাতালে হামলা চালানো হয়নি।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতাকে হত্যা করা ইজ়রায়েলের সামরিক অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য! এমনটাই দাবি করলেন ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজ়রায়েল কাৎজ়। তিনি বলেন, “ওর (খামেনেই) মতো মানুষের সবসময়ই লক্ষ্য ইজ়রায়লকে ধ্বংস করা। যে আমাদের উপর সবসময় হামলা করতে চায়, তার বেঁচে থাকা উচিত নয়। ওকে থামানো এবং হত্যা করা আমাদের অভিযানের অঙ্গ।”
পরবর্তী নির্দেশ না-নেওয়া পর্যন্ত ইজ়রায়েলে থাকা আমেরিকার সরকারি আধিকারিক এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে ইজ়রায়েলে আমেরিকান দূতাবাস।
বৃহস্পতিবার সকালে ইরানের আরও একটি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ইজ়রায়েল হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ তেহরানের। ইরানের সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ জানিয়েছে, খোনদাব শহরে ভারী জলের গবেষণাকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েলি বাহিনী। বস্তুত, এই ভারী জল পরমাণু রিঅ্যাক্টরকে শীতল রাখতে ব্যবহার হয়। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) পরে জানায়, ভারী জলের গবেষণার একটি নির্মীয়মাণ রিঅ্যাক্টরে হামলা হয়েছে। তবে সেটি সক্রিয় ছিল না। ফলে, কোনও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ঘটেনি। এখনও পর্যন্ত সেখানে ভারী জলের গবেষণাকেন্দ্র হামলার কোনও খবর আইএইএ-র কাছে নেই।
আমেরিকার সাহায্য নিয়ে ইজ়রায়েল যদি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনেইকে হত্যার কোনও পরিকল্পনা করে, তবে কী ভূমিকা থাকবে রাশিয়ার? সেই প্রসঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি এই পরিস্থিতির (খামেনেইকে হত্যা) সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করতে চাই না।”
উত্তরের জন্য জোরাজুরি করা হলে খানিক অনিচ্ছা নিয়েই পুতিন জানান, তিনিও শুনেছেন যে, খামেনেইকে হত্যার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু তিনি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চান না। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “ইরানের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সব জটিলতা সত্ত্বেও সে দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের পক্ষেই গোটা সমাজ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।”
রাষ্ট্রপুঞ্জের আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-র প্রধান রাফায়েল গ্রসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল ইরান! ইরানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ইসমাইল বঘেইয়ের অভিযোগ, ইজ়রায়েল যে ‘অন্যায্য আক্রমণ’ শুরু করেছে, তাতে প্রশ্রয় দিচ্ছেন গ্রসি। সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্রসি দাবি করেছেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে বলে কোনও পোক্ত প্রমাণ নেই। সেই প্রসঙ্গে বঘেই বলেন, “অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে গ্রসি।” তাঁর বক্তব্য, আইএইএ-ই জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক পরমাণু বিধি ভাঙছে। সেটিকেই ইরানের বিরুদ্ধে আক্রমণের কারণ হিসাবে ব্যবহার করেছিল ইজ়রায়েল। গ্রসির উদ্দেশে বঘেই বলেন, “বিভ্রান্তিকর কোনও বর্ণনার পরিণতি ভয়াবহ হয় এবং এর জবাবদিহি করা উচিত। আপনি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ব্যবস্থার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। আপনি এই অন্যায্য যুদ্ধে আইএইএ-কেও সামিল করেছেন।”
ইরানের বিরুদ্ধে আরও জোরালো আক্রমণের নির্দেশ দিয়েছেন ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজ়রায়েল কাৎজ়। তিনি বলেছেন, ‘‘ইরানকে এর পরিণাম ভুগতে হবে।’’ ইজ়রায়েল যে এত সহজে মাথা নোয়াবে না, সেই ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন কাৎজ়।
আমেরিকা সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে ইরান প্রয়োজনীয় যে কোনও পদক্ষেপ করতে পারে! এমনটাই জানিয়ে রাখল তেহরান। ইরানের উপবিদেশমন্ত্রী কাজ়িম ঘরিবাবাদির বক্তব্য, এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে ‘সম্ভাব্য সব পথই খুলে’ রাখতে চাইছে ইরান।
ইরানের হামলায় অন্তত ৬৫ জন জখম হয়েছেন বলে দাবি ইজ়রায়েলের জরুরি পরিষেবা বিভাগের। তাঁদের মধ্যে ১৮ জন নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে গিয়ে জখম হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
ইজ়রায়েলের হাসপাতালে হামলার মূল্য চোকাতে হবে ইরানকে! বৃহস্পতিবার তেহরানকে এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ইরানের ‘সন্ত্রাসী স্বৈরাচারীরা’ বেরশেভার সোরোকা হাসপাতালে এবং মধ্য ইসরায়েলের সাধারণ নাগরিকদের বসতি এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।”
ইজ়রায়েলের তেল আভিভেও আছড়ে পড়তে শুরু করেছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র। সিএনএন জানিয়েছে, তেল আভিভের শহরতলিতে বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। বেশ কিছু বহুতল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ। তেল আভিভের এক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অন্তত ১০ জনকে জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ইরানের সংবাদ সংস্থা আইএনআরএর দাবি, বৃহস্পতিবার সকালে ইজ়রায়েলি সেনার কমান্ড অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স (আইডিএফ সি৪আই) সদর দফতরে হামলা চালিয়েছে ইরানি বাহিনী। এ ছাড়া গাভ-ইয়ামে ইজ়রায়েলের সামরিক গোয়েন্দাদের একটি দফতরেও হামলা হয়েছে বলে দাবি ইরানি সংবাদ সংস্থার। ইজ়রায়েলের যে হাসপাতালে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ, সেটির কাছেই এই দফতরটি। ইরানের সংবাদ সংস্থার দাবি, হাসপাতালে সামান্যই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মূল নিশানা ছিল সামরিক দফতর।
বৃহস্পতিবার সকালে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে পর পর ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা শুরু করেছে ইরান। এমনটাই দাবি করছে ইজ়রায়েলি বাহিনী। তাদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ‘কয়েক ডজন’ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। তার মধ্যে কয়েকটি সাধারণ নাগরিকদের বসতি এলাকাতেও পড়েছে বলে অভিযোগ ইজ়রায়েলের।
বৃহস্পতিবার সকালে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধেও হামলা চালিয়েছে ইরানি বাহিনী। ইজ়রায়েলের দক্ষিণ প্রান্তে বের-শেভা শহরে একটি হাসপাতালে ইরান হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। সংবাদমাধ্যম সিএনএন অনুসারে, হাসপাতালের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, কত জন জখম হয়েছেন, কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা দেখা হচ্ছে। এখনই কাউকে ওই হাসপাতালে না আসার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।