লন্ডনের খুনি একা ছিল না, দাবি পুলিশের

লন্ডনে হামলাকারী খালিদ মাসুদ ‘লোন উল্ফ’ নয় বলেই দাবি ব্রিটিশ পুলিশের। তাদের মতে, মাসুদ এক বৃহত্তর চক্রের অঙ্গ। লন্ডন কাঁপিয়ে দেওয়া জঙ্গি হামলার পিছনে সেই চক্রেরই মদত রয়েছে

Advertisement

শ্রাবণী বসু

লন্ডন শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৭ ০২:৪০
Share:

খালিদ মাসুদ।

লন্ডনে হামলাকারী খালিদ মাসুদ ‘লোন উল্ফ’ নয় বলেই দাবি ব্রিটিশ পুলিশের। তাদের মতে, মাসুদ এক বৃহত্তর চক্রের অঙ্গ। লন্ডন কাঁপিয়ে দেওয়া জঙ্গি হামলার পিছনে সেই চক্রেরই মদত রয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি, হুন্ডাই এসইউভি নিয়ে পার্লামেন্টের বাইরে রেলিংয়ে ধাক্কা মারার মিনিট তিনেক আগে কাউকে হোয়াটসঅ্যাপ-বার্তা পাঠিয়েছিল মাসুদ। সেই ব্যক্তিটিকেই এখন হন্যে হয়ে খুঁজছে ব্রিটিশ পুলিশ।

Advertisement

ওয়েস্টমিনস্টার সেতু ও পার্লামেন্ট চত্বরে হামলার দায় ইতিমধ্যেই নিয়েছে আইএস। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই আইএসের অনুগামীরা ‘লোন উল্ফ’ হিসেবে কাজ করে। তাদের সঙ্গে মূল সংগঠনের বিশেষ যোগও থাকে না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিষয়টি তেমন নয় বলেই ধারণা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের।

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুই মহিলা-সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে দু’জন। এখনও মাসুদের কিছু সহযোগীর খোঁজ চলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কী ভাবে মাসুদ মৌলবাদের দিকে ঝুঁকল, তা বুঝতে পারলে রহস্য অনেকটা কাটবে বলে ধারণা গোয়েন্দাদের।

Advertisement

তদন্তকারীদের মতে, প্রাক্তন স্ত্রী ফরজানা মালিককে বিয়ে করার সময়ে ইসলাম গ্রহণ করে মাসুদ। তার আগেই ছুরি নিয়ে হামলা-সহ নানা অভিযোগে বেশ কয়েক বার জেল খেটেছে সে। এক সময়ে সাসেক্সের বাসিন্দা লি লরেন্সের কাছে কাঠ কাটার কাজ করত মাসুদ। তখন সে পরিচিত ছিল অ্যাড্রিয়ান এলম নামে। লরেন্স পুলিশকে জানিয়েছেন, ২০০০ সালে পায়ার্স মট নামে এক পাবমালিকের মুখে ছুরি আঘাত করে মাসুদ। তার পরে তাঁর গলার কাছে ছুরি ধরে বলেছিল, ‘‘আমি আরও রক্ত চাই।’’

গোয়েন্দাদের মতে, স্বভাবতই উগ্র স্বভাবের মাসুদ ইসলাম গ্রহণ করার পরে সহজেই মুসলিম মৌলবাদীদের জঙ্গি কার্যকলাপের দিকে আকৃষ্ট হয়েছিল। পুলিশের দাবি, ফরজানার সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে সে দীর্ঘ সময় বাড়িতেই কাটাত। ডুবে থাকত ইন্টারনেটে। তখন আইএস নেতাদের সঙ্গে নেটে তার যোগাযোগ হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা গোয়েন্দাদের।

দু’দফায় সৌদি আরবে গিয়েছিল মাসুদ। জেড্ডায় সে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে কাজ করত বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের মতে, তখনই সরাসরি জঙ্গিদের সংস্পর্শে এসে থাকতে পারে সে। অথবা ব্রিটেনের জেলেও মৌলবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়ে থাকতে পারে।

আপাতত সেই যোগই খুঁজে বের করতে মরিয়া স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন