মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা।
এক দিকে জোট তছনছ। আর এক দিকে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট শপথ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী পদে। শুক্রবার এমন নানা নাটকের পরে কার্যত সাংবিধানিক সঙ্কট শ্রীলঙ্কায়। মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা। কিন্তু সদ্য-প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংঘে ঘোষণা করেছেন, ‘‘রাজাপক্ষের নিয়োগ অসাংবিধানিক।’’
রাজাপক্ষে প্রেসিডেন্ট থাকার সময়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন সিরিসেনা। ২০১৫ সালে রনিলের দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি)-র সমর্থনেই প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরেই রনিলের সঙ্গে তিক্ততা চলছিল তাঁর। এ দিন আচমকাই শাসক জোট থেকে সরে দাঁড়ায় সিরিসেনার ইউনাইটেড পিপলস ফ্রিডম অ্যালায়েন্স। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই প্রেসিডেন্টের সচিবালয়ে শপথ নেন রাজাপক্ষে।
গত ফেব্রুয়ারির স্থানীয় নির্বাচনে নতুন মঞ্চ ‘শ্রীলঙ্কা পিপলস ফ্রন্ট’ গড়ে ভালই ফল করেন রাজাপক্ষে। এ দিকে, গত সপ্তাহে সিরিসেনা অভিযোগ করেন, তাঁকে এবং মাহিন্দার ভাই গোতাভায়া রাজাপক্ষেকে খুনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে জেনেও গুরুত্ব দেয়নি ইউএনপি। সিরিসেনাকে খুনের ছক কষার অভিযোগে বৃহস্পতিবার নালাকা ডি’সিলভা নামে এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়।
সিরিসেনাকে খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ঘিরে ভারতের সঙ্গেও টানাপড়েন তৈরি হয়েছিল শ্রীলঙ্কার। ভারতীয় এক সংবাদপত্রে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘র’ তাঁকে মারতে চাইছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন সিরিসেনা। দিল্লি এই অভিযোগ অস্বীকার করে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছাড়া এ ভাবে প্রধানমন্ত্রী বদলের সাংবিধানিক অধিকার নেই প্রেসিডেন্টের। সিরিসেনা-রাজাপক্ষের দলের মিলিত আসনের চেয়ে এখনও ১১টি বেশি আসন রয়েছে রনিলের। আরও সাতটি আসন পেলেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা। তাই রনিল শিবির দাবি করে চলেছে, দেশের রাশ এখনও তাদেরই হাতে।